কলিঙ্গভূমে পয়েন্ট নষ্ট মোহনবাগানের, আশিসের ভুলে ওড়িশার বিরুদ্ধে ড্র সবুজ-মেরুনের
ওড়িশা এফসি ১ (বুমোস)
মোহনবাগান ১ (মনবীর)
আবার পয়েন্ট নষ্ট করল মোহনবাগান। রবিবার ভুবনেশ্বরে ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে ১-১ ড্র হল ম্যাচ। খেলার শুরুতেই আশিস রাইয়ের ভুলের খেসারত দিতে হল সবুজ-মেরুনকে। মনবীর সিংহ সমতা ফেরালেও লাভ হয়নি। মুখোমুখি সাক্ষাতে ওড়িশার থেকে এগিয়ে রয়েছে মোহনবাগান। তবে ওড়িশা এ বারের আইএসএলে ভাল খেলছে না। লিগ তালিকায় ন’নম্বরে রয়েছে তারা। মোহনবাগানের সামনে জিতে শীর্ষে থাকা বেঙ্গালুরুর সঙ্গে পয়েন্ট সমান করে ফেলার সুযোগ ছিল। সেটা হল না। সাত ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানেই থাকল মোহনবাগান। শীর্ষে থাকা বেঙ্গালুরু এক ম্যাচ বেশি খেলে ১৭ পয়েন্ট পেয়েছে।
ডান দিক থেকে ওড়িশা অমেয় রানাওয়াড়ে বল ভাসিয়েছিলেন মোহনবাগানের বক্সে। আশিস ইচ্ছাকৃত ভাবে পা দিয়ে সেই বল পাস দেন বিশাল কাইথকে। গোলকিপার কাইথ বল ধরে ফেলেন। ফুটবলের নিয়ম অনুযায়ী, গোলকিপারকে তাঁর কোনও সতীর্থ ইচ্ছাকৃত ভাবে পা দিয়ে পাস দেন এবং গোলকিপার সেই বল হাত দিয়ে ধরেন, তা হলে বিপক্ষ ‘ইনডিরেক্ট ফ্রিকিক’ পায়। বিশাল যদি আশিসের বলটি পায়ে এক বার লাগিয়ে তার পর হাতে ধরতেন তা হলে সমস্যা ছিল না। কিন্তু তিনি তা করেননি। অপর দিকে, ওই পরিস্থিতিতে আশিসেরও উচিত হয়নি সেই বল বিশালকে ব্যাক পাস দেওয়া। তিনি সেটি উড়িয়ে দিতে পারতেন। ফলে ওড়িশার পক্ষে ‘ইনডিরেক্ট ফ্রিকিক’ দেন রেফারি। গোলের থেকে মাত্র পাঁচ গজ দূরে ফ্রিকিক পায় ওড়িশা। স্বাভাবিক ভাবেই মোহনবাগানের সব খেলোয়াড় গোল আটকে দাঁড়িয়েছিলেন। তাতেও লাভ হয়নি। বুমোসের ফ্রিকিক মনবীরের পায়ে লেগে মোহনবাগানের গোলে ঢুকে যায়। যে হেতু শটটি গোলমুখী ছিল তাই বুমোসের গোলই দেওয়া হয়।
কর্নার থেকে সরাসরি হেডে অতীতে বহু বার গোল করেছেন মনবীর। এ দিনও ভুল করেননি। দিমিত্রি পেত্রাতোসের নিখুঁত কর্নার সরাসরি মনবীরকে লক্ষ্য করেই ভেসে এসেছিল। মনবীরের জোরালো হেড বাঁচানোর সুযোগই পাননি বিপক্ষ গোলকিপার অমরিন্দর সিংহ। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে বাঁ পায়ের শটে গোল করেছিলেন মনবীর। এই নিয়ে আইএসএলে টানা দু’টি ম্যাচে গোল করলেন। রয় কৃষ্ণ, বুমোসেরা বার বার মোহনবাগানে অর্ধে হানা দিয়েছেন। পুইতিয়ার একটি শট ক্রস বারে লেগে ফেরে। কৃষ্ণও সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন।