ব্লাউজে বার্তা ‘বিচার চাই’, শাড়িতে লেখা ‘মেরুদণ্ড বিক্রি নেই’, প্রতিবাদের ভাইফোঁটা ঊষসীরআরজি কর নিয়ে এমনিতে উৎসব আমেজে ভাঁটা! এবছর ফোঁটা হচ্ছে না পল্লবী-প্রসেনজিতের

‘ভাইদের মঙ্গল হোক বোনের বিচার হোক’, ভাইফোঁটার দিনেও আরজি করের নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে সরব ঊষসী। ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা…. রবিবার সারা বাংলা মেতে উঠেছে ভাই ফোঁটার উদযাপনে। পিছিয়ে নেই তারকারাও। আরজি কর আবহে এই বছর প্রতিবাদের ভাইফোঁটা ঊষসী চক্রবর্তীর। আরজি কর নিয়ে শুরু থেকেই সরব হয়েছেন শ্যামল চক্রবর্তী কন্যা। মিছিলে পা মিলিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুর চড়িয়েছেন। এদিনও ঊষসীর পোশাকে ধরা পড়ল প্রতিবাদ। আরজি করের প্রতিবাদ মিছিলে হাঁটতে গিয়েই একটি শাড়ি উপহার পান ঊষসী। সাদা ব্লাউজের পিঠে আকাঁ নারীর অবয়ব। লেখা রয়েছে ‘অভয়া’, নীচে লেখা বিচার চাই। ভাইফোঁটাতেও আরজি করের নির্যাতিতা তরুণীর বিচার চেয়ে সরব হলেন ঊষসী। এই বছর ভাইফোঁটায় তাঁর একটাই কামনা-‘ভাইদের মঙ্গল হোক, বোনের বিচার হোকসর্বোপরি আমার বোনের রক্তচোখ, আঁধার রাতের মশাল হোক’।
এবার ভাইফোঁটা হচ্ছে না প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বোন পল্লবী চট্টোপাধ্যায়ের। এই দিনটা বুম্বাদার জন্য আরও একটা কারণে বিশেষ। পল্লবী এখন কাজের সূত্রে রয়েছেন মুম্বইতে। প্রসেনজিৎ কোনো কাজে মুম্বইতে এলে তবেই ভাইফোঁটা হবে। মন্দিরে গিয়ে ফোঁটা দিয়ে আসবেন। জানালেন, দুজনের কাছেই কাজ সবচেয়ে বড় প্রায়োরিটি। কাজের সঙ্গে আপোস করা তাই একেবারেই না পসন্দ। ভাইফোঁটার দিন অর্পিতা সাধারণত নিজে দাঁড়িয়ে থেকে রান্না করেন দাদার জন্য। বোনের হাতে পাতলা পটনের ঝোল খেতে খুব পছন্দও করেন প্রসেনজিৎ। শুধু তাই নয়, ছোট থেকে এদিনটায় ফোঁটা দেওয়ার পর পায়েস খাওয়ান দাদাকে। আগে যা মা রান্না করে দিত, এখন পল্লবী নিজে রাঁধেন। আর ডায়েট শিকেয় তুলে প্রসেনজিৎও অন্তত ২ চামচ তোলেন মুখে। এখন দেখার, কোনো আছিলায় দাদা ছুটে যান নাকি, প্রিয় বোনের কাছে।
হলুদ শাড়িতে সেজেছিলেন পল্লবী। আর হালকা নীল হাফ হাতা শার্ট আর টর্নড জিনস পরেই ফোঁটা নেন ‘ইন্ডাস্ট্রি’। প্রসেনজিৎ লেখেন, ‘কলকাতা হোক বা মুম্বই, ভাইফোঁটার আনন্দ মিস করা যায় না। আশা করি সকলেরই খুব ভালো কাটছে দিনটা।’