লেখাপড়া করে যে, সঠিক বিচার চেয়ে লড়েও সে! ‘‘শিক্ষিতদের হাতে ক্ষমতা থাক বা না থাক, শিক্ষার ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত হোক। সঠিক শিক্ষা না থাকলে সঠিক প্রতিবাদ করা যায় না।’’
‘‘শিক্ষিতদের হাতে ক্ষমতা থাক বা না থাক, শিক্ষার ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত হোক। সঠিক শিক্ষা না থাকলে সঠিক প্রতিবাদ করা যায় না।’’ সাধারণ মানুষের উদ্দেশে আসফাকুল্লা বলেন, ‘‘সামনে আমাদের এমএস/ এমডি পরীক্ষা। তাই আমাদের কয়েক জনকে পড়াশোনা করতে বসতে হল। হয়তো আমাদের কয়েক জনকে কয়েক দিন দেখতে পাবেন না। কিন্তু আন্দোলন চলছে এবং চলবে, এটা ভুলে যাবেন না। এখনই যাঁদের পরীক্ষা নেই, তাঁরা এবং আপনারা এই যুদ্ধ চালিয়ে নিয়ে যাবেন, এই আশা রেখে পড়তে বসলাম।’’ আড়াই মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত। আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় বিচার চেয়ে লড়েছেন জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। বিচারের দাবির পাশাপাশি হাসপাতালে হাসপাতালে উন্নত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, ‘থ্রেট কালচার’ বা ‘হুমকি সংস্কৃতি’-র বিরুদ্ধেও গলা ফাটিয়েছেন। কিন্তু পরীক্ষা আসছে। তাই সেই প্রতিবাদী জুনিয়র ডাক্তারেরা এ বার পড়তে বসছেন। আসফাকুল্লা জানালেন, এই কারণে আগামী কয়েক দিন তাঁদের প্রকাশ্যে খুব একটা দেখা যাবে না।
পড়তে বসার আগে বার্তা দিয়ে আসফাকুল্লা জানান, লম্বা লড়াইয়ে অনেক কিছু পেয়েছেন তাঁরা, হারিয়েছেনও অনেক কিছু। ‘‘প্রায় তিন মাস আমরা সকলে মিলে একসঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। অনেক কিছু ছিনিয়ে এনেছি। অনেক কিছু পাইনি। অনেক কিছু হারিয়েছি। নারীশিক্ষা, শিক্ষার সুরক্ষা নিয়ে নানা কথা বলেছি, অনেক ব্যঙ্গও শুনেছি। বিচারের শব্দে কারও চেয়ার নড়ে গিয়েছে কি না, আমরা জানি না। তবে কোনও চেয়ারের ভয়ে বিচারের দাবি থেকে আমাদের কেউ নড়াতে পারেনি। পারবেও না।’’