সানগ্লাস পরে কালীপুজোয় অভিষেক, তৃণমূল সেনাপতি মমতার সঙ্গে উঁচুতে বসে দেখলেন পুজো, মেয়ে আজানিয়াও

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির পুজোয় অভিষেক। সানগ্লাস পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির পুজোয় এলেন অভিষেক। পুজোয় এসেই মেয়ে আজানিয়াকে সঙ্গে নিয়ে মা কালীকে প্রণাম করেন। পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন মুখ্যমন্ত্রীকেও। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একটি উঁচু জায়গায় বসে ষজ্ঞ দেখেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। সারাক্ষণ পাশেই বসে ছিলেন মেয়ে। মাঝেমধ্যেই মেয়ে অভিষেকের হাঁটুতে মাথা রাখছিলেন। আর সেইসময় আদর করে তাঁর মাথায় হাত বুলিতে দিতে দেখা যায় অভিষেককেও। মুখ্যমন্ত্রীও একাধিকবার কথা বলেন অভিষেকের সঙ্গে। থেকে একটু দূরে ছিলেন অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা। বাকিদের সঙ্গে তিনিও মেঝেতে বসে মা কালীর পুজো দেখতে থাকেন।

অভিষেকর চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই চোখের সমস্যায় ভুগছেন অভিষেক। চোখের জন্য মাঝেমধ্যেই বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হয়। চোখের অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। কালীপুজোর সন্ধ্যায় প্রথমবার জনসমক্ষে এলেন অভিষেক। ৮ বার চোখে অস্ত্রোপচার হল অভিষেকের।

২১ অক্টোবর চোখের ছবি পোস্ট করে অভিষেক বলেন, ‘সম্প্রতি আমার চোখের যে অস্ত্রোপচার হয়েছে, সেইসময় শুভকামনা জানিয়ে যাঁরা বার্তা দিয়েছিলেন, তাঁদের প্রত্যেককে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ২০১৬ সালের দুর্ঘটনার পর থেকে দৃষ্টিশক্তি নিয়ে আমি সমস্যায় ভুগছি। এই নিয়ে আমার অষ্টমবার অস্ত্রোপচার হল। আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে এবারের অস্ত্রোপচারটা ভালো হয়েছে। আমি ভালো আছি। আমি এখন সুস্থ হয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। অস্ত্রোপচারর পরে আমায় কয়েকটা নিয়ম মেনে চলতে হবে। যাতে ঠিকভাবে সেরে উঠি আমি, সেজন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আমায় কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হবে।’

কালীপুজোয় সানগ্লাস পরে আসেন অভিষেক। তিনি যজ্ঞও দেখছিলেন। যাতে চোখে সরাসরি আগুনের আভা না লাগে। যা চোখের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। মমতার বাড়ির কালীপুজোর ৪৭তম বর্ষ। মাটির ঘট দিয়ে পুজো সাজানো হয়েছে। তাতে পেঁচা এবং ধানের ছড়া আঁকা রয়েছে। মমতা নিজে কালীপুজোর ভোগ রান্না করেছেন।

অভিষেকের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকিমা কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়রা, স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ও মমতার বাড়ির পুজোয় ছিলেন। তাঁদের পুজোর জোগাড়ের কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা গিয়েছে। এ ছাড়া, মমতার বাড়ির পুজোয় ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মার মতো পুলিশ-প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা, সাংসদ, বিধায়কদেরও পুজোয় উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে।