November 2, 2024

ফের পুলিশের জালে সাজাপ্রাপ্ত ধর্ষক, জেল থেকে ছাড়া পেয়েই নিজের মেয়ে ও ভাইঝিকে ধর্ষণ!

0

ধর্ষণের অভিযোগে অপরাধী। জেল খাটছিল। জেল থেকে প্যারোলে ছাড়া পাওয়ার পরই নিজের ১১ বছরের বালিকা কন্যা ও ১২ বছরের ভাইঝিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল ছত্তিশগড়ের অম্বিকাপুরের এক ধর্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল অম্বিকাপুরে।

২০২০ সালে এক আত্মীয়ের শিশুকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি। সেই বছরই গ্রেপ্তার। পরে দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলেই সাজা খাটছিল। ১৯ অক্টোবর প্যারোলে মুক্তি পায় ধর্ষক। আর তার পরই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল নিজেরই মেয়ে ও ভাইঝিকে ধর্ষণের।

লোকটির ১১ বছরের মেয়ে গত ২২ অক্টোবর বৈকণ্ঠপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ করে যে তাকে তার বাবা ১৯ অক্টোবর রাতেই নিজেদের ঘরে ধর্ষণ করে। সেই সঙ্গেই হুমকি দেয়, মুখ খুললে খুন করা হবে। এর পর ২১ অক্টোবর ফের কাঠ কুড়নোর জন্য জঙ্গলে গেলে সেখানেও তাকে তার বাবা ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করে মেয়েটি। এরপরই থানায় হাজির হয় ওই ধর্ষকের ১২ বছরের ভাইঝি। তার অভিযোগ, জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে তাকেও।

২১ অক্টোবর রাত থেকেই পলাতক হয় ওই ব্যক্তি। ইতিমধ্যেই স্পেশাল দল গঠন করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তার আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও পাশের গ্রামের বাসিন্দাদের। তার কাছে মোবাইল নেই, তাই অবস্থান খুঁজে বের করতে বেগ পেতে হয়েছে পুলিশকে। সে অন্য একজনের ফোন ব্যবহার করেছে। তাও এক থেকে দুবার। সেটুকু তথ্য পেয়েই ওই ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে সেই এলাকার আশপাশ ঘিরে ফেলেন তদন্তকারীরা। শিগগিরি অভিযুক্ত ধরা পড়বে, আশ্বাস দেয় পুলিশ। ২৬ অক্টোবর রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই ধর্ষককে।

এদিকে ঘুমের ইঞ্জিকেশন দিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল কানপুরের এক জিম প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগের পরেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি, অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের। শেষ পর্যন্ত এলাহাবাদ হাই কোর্টের নির্দেশে ধর্ষণের ঘটনার প্রায় দেড় বছর পর গ্রেপ্তার করা হল অভিযুক্তকে। ঘটনাটি ২০২১ সালের। শহরের ফজলগঞ্জ এলাকার একটি জিমে শারীরিক কসরত করতেন তখন ক্লাস ইলেভেনের ছাত্রী ওই নাবালিকা। ওই জিমেই প্রশিক্ষকের কাজ করতেন অভিযুক্ত অর্জুন সিং। নাবালিকার নম্বর ফোন নম্বর চেয়েছিলেন তিনি, দেয়নি নাবালিকা। এর পর ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে জিম অপরেটরের কাছে থেকে নাবালিকার ফোন নম্বর পান অর্জুন। অভিযোগ, একাধিকবার নাবালিকাকে দেখা করার জন্য চাপ দিতেন জিম প্রশিক্ষক। এর পর না জানিয়ে এক ধরনের মাদক পাউডার দিতেন নাবালিকাকে। ওই পাউডারের নেশা ধরে যায় নাবালিকার। সেই সুযোগে একদিন অর্জুন বাড়িতে ডেকে পাঠান নাবালিকাকে। মাদকের ইঞ্জেকশন দেন তাকে। এবং নেশাগ্রস্ত প্রায় জ্ঞানহীন নাবালিকাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। কুকীর্তির ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে বেশ কয়েক মাস বন্দি করে রাখেন নাবালিকাকে। নিজে বাঁচতে নির্যাতিতাকে আত্মহত্যার উসকানিও দেন। একদিন অভিযুক্তের অনুপস্থিত গোটা বিষয়টি মা-বাবাকে জানাতে সক্ষম হন নাবালিকা। যদিও নির্যাতিতার মা-বাবা থানায় গেলেও পুলিশ অভিযোগ নেয়নি! শেষ পর্যন্ত ওই দম্পতিই মেয়েকে উদ্ধার করেন। এর পর ২০২৩ সালে নতুন করে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। তার পরেও গ্রেপ্তার হননি অভিযুক্ত। শেষ পর্যন্ত এলাহাবাদ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন দম্পতি। হাই কোর্টের নির্দেশে সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত অর্জুন সিংকে।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed