ঈশানের ভেল্কি সত্ত্বেও ১ পয়েন্টের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলা?ম্যাচের ফয়সালার স্বপ্ন দেখা লক্ষ্মীর আশায় জল ঢাললেন কেরল ব্যাটাররা!
রবি সকালে মাঠে হাজির ছিলেন সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। মাঠ প্রস্তুতির কাজ নিজে তদারকি করেন। মাঠকর্মীরাও তৎপরতার সঙ্গে মাঠ শুকানোর চেষ্টা চালিয়ে খেলা শুরু করেন। তৃতীয় দিনে ঈশানের ভেল্কিতে ৫ উইকেট। ম্যাচের ফয়সালার স্বপ্ন দেখছিলেন লক্ষ্মী। দানার ঝাপ্টায় শনিবার, ম্যাচের প্রথম দিন পণ্ড হয়েছে। বৃষ্টি থামলেও সিএবি-র সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে হাজির হয়েছিল ভিজে মাঠ। সল্ট লেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গোটা মাঠ কভারে ঢাকা থাকলেও দুটি প্রান্তে জল আটকানো সম্ভব হয়নি। যে কারণে শনিবার বাংলা বনাম কেরল রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ শুরু করা যায়নি।
রবিবার দুপুর সাড়ে তিনটেয় শুরু ম্যাচ। অনুষ্টুপ মজুমদার, ঋদ্ধিমান সাহারা গুরুত্বপূর্ণ টস জিতে প্রতিপক্ষ কেরলে প্রথমে ব্যাটিং করতে পাঠায় বাংলা। রবিবার বিকেলে যে ১৫.১ ওভারে চার উইকেট খুইয়ে ৫১ রান করে কেরল। শনিবার লন্ডন রওনা হওয়ার আগে মাঠে এসে বাংলার ক্রিকেটারদের উৎসাহ দিয়ে যান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বাংলার হয়ে এই ম্যাচে অভিষেক অভিলীন ঘোষ ও শুভম দে-র। বল হাতে দুরন্ত স্পেল ঈশান পোড়েলের। যিনি চোটের জন্য আগের দুই ম্যাচের দলে ছিলেন না। বিহার ম্যাচ পরিত্যক্ত। চন্দননগরের পেসার। ২০ ওভারে ২টি মেডেন সহ মাত্র ৬৯ রান খরচ করে ৫ উইকেট ঈশানের। শিকারের তালিকায় কেরলের দুই ওপেনার বৎসল গোবিন্দ, রোহন কুন্নুম্মল, বাবা অপরাজিত, শচিন ববি, অক্ষয় চন্দ্রন। বাবা অপরাজিত তামিলনাড়ু ছেড়ে এখন কেরলের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেন।একটি করে উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার প্রদীপ্ত প্রামাণিক ও সূরজ সিন্ধু জয়শোয়াল।
কেরলের অভিজ্ঞ ব্যাটার তথা অধিনায়ক সচিন বেবি বোল্ড হন ১২ রানে, ঈশানের বলেই। অভিজ্ঞ জলজ সাক্সেনা করেন ৮২ রান। ক্রিজে সলমন নাইজার ৬৪ রানে ও মহম্মদ আজাহারউদ্দিন ৩৩ রানে রয়েছেন। কেরল আপাতত ৭ উইকেটে ২৬৭ রান তুলেছে। বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা আশাবাদী ছিলেন, প্রতিপক্ষকে দ্রুত মুড়িয়ে দেওয়া যাবে। সরাসরি জয়ের সম্ভাবনাও ধরে রেখেছিলেন। সব আশাতেই আপাতত জল ঢাললেন কেরলের ব্যাটাররা। বাংলা শিবিরে ক্ষোভের আঁচ। কারও কারও মতে, আম্পায়াররা চাইলে এদিন লাঞ্চের পর ম্যাচ শুরু করে দেওয়া অসম্ভব ছিল না। আপাতত যা পরিস্থাতি বাংলার জন্য এক পয়েন্টই বরাদ্দ বলে মনে করা হচ্ছে?