নবান্নর কাছেই জমা জলে মৃত্যু হাওড়া পুরসভার কর্মীর!রেলিং ছুঁতেই ভবানীপুরে জমা জলে পড়ল যুবকের দেহ, দানার ছোবলে বাংলায় মৃত ৪
দানা বিপর্যয়ে সব মিলিয়ে ৪জনের মৃত্যু বাংলায়। ডানার দাপটে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে বাংলায়। ঘূর্ণিঝড়ের দাপট ছিল না। ডানা দুর্যোগের জেরে বাংলায় চারজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বর্ধমানের বুদবুদে এক সিভিক ভলান্টিয়ার না বুঝতে পেরে একটি বিদ্যুতের তারকে ধরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হন। পুলিশের টিমের সঙ্গেই তিনি বেরিয়েছিলেন।মৃতের নাম চন্দন দাস(৩১)। রাজ্য সরকার জানিয়েছে আরও দুজনের বিদ্যুতের শক লেগে মৃত্যু হয়েছে। একজন দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমায়। অপরজন দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর এলাকায়। দানা বিপর্যয়ের ফলেই মৃত্যু চারজনের। ভবানীপুরে রাস্তার ধারে একটি রেলিংয়ে হাত দিতেই বিদ্যুতের শক লাগে। সেখানে একটি গ্লো সাইন বোর্ড ছিল। তার তারেই কোনোভাবে রেলিংটা বিদ্যুতের পরিবাহী হয়ে যায়। সেখান থেকেই শক লাগে।
হাওড়া পুরসভার অস্থায়ী সাফাইকর্মী গৌতম চট্টোপাধ্যায় নামে ব্যক্তির বাড়ি হাওড়ার তাঁতি পাড়ায়। দুর্যোগের মধ্যেও কাজে গিয়েছিলেন গৌতমবাবু। নবান্নে বসে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে একের পর এক দাবি করে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেখান থেকেই ঢিল ছোড়া দূরত্বে জমা জলে মৃত্যু হল হাওড়া পুরসভার এক অস্থায়ী কর্মীর। শুক্রবার মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে নবান্নের কাছে হাওড়ার ডুমুরজলায়। শুক্রবার দুর্যোগের মধ্যেও কাজে গিয়েছিলেন গৌতমবাবু। ফেরার সময় ডুমুরজলা এলাকায় জমা জলের ভিতর হঠাৎ পড়ে যান তিনি। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। বেশ কিছুক্ষণ পর সাধারণ মানুষ তাঁকে পড়ে থাকতে দেখে চ্যাটার্জিহাট থানায় খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। তবে তিনি কেন পড়ে গেলেন তা জানা যায়নি। স্থানীয়দের দাবি, রাস্তায় জল না জমলে তাঁকে বাঁচানো যেত। জমা জলে পুরকর্মীর মৃত্যুতে বিরোধীদের প্রশ্ন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা সাংবাদিক বৈঠক কি শুধুই লোক দেখানো? নইলে নবান্নের নাকের ডগায় এত জল জমল কী করে? আইনি জটিলতায় হাওড়ায় পুরো ভোট হয় না দীর্ঘদিন। প্রশাসক দিয়ে চলছে পুরসভা। পুর প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘প্রবল বৃষ্টির কারণে জল জমেছে। জল নামানোর কাজ চলছে। পুরকর্মীর মৃত্যুর খবর খুবই দুঃখের। তাঁর মৃত্যুর কারণ জানার চেষ্টা চলছে।’