‘মমতার অত্যাচারে অসুস্থ পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন পুলিশকর্তা’, সরকারের পুলিশি তদন্তের ফাঁক ফোকড় ও পুলিশি নির্যাতন ও পুলিশি বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে সরব ছিলেন

বুধবার বারাণসীতে ফিলোজফিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন সংস্থার পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি পঙ্কজ দত্ত। তখনই তাঁর নাক – মুখ থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন তিনি। বারাণসীতে এক অনুষ্ঠানে যোগদান করতে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ইন্সপেক্টর জেনারেল পঙ্কজ দত্ত। নাক ও মুখ থেকে রক্তক্ষরণের ফরে সংজ্ঞাহীন রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ইন্সপেক্টর জেনারেল পঙ্কজ দত্তকে বারাণসীতে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। পঙ্কজবাবুর এই অবস্থার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুবাবুর বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন পঙ্কজবাবুর আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়।
পঙ্কজবাবুর শারীরিক অবস্থার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, ‘পঙ্কজবাবুর এই অবস্থার জন্য যদি কেউ দায়ী হয়ে থাকেন তাহলে তিনি একমাত্র পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সোচ্চার সমালোচক ছিলেন পঙ্কজ দত্ত। বিশেষ করে পুলিশি তদন্তের ফাঁক ফোকড় ও পুলিশি নির্যাতন ও পুলিশি বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধেও সরব ছিলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা যত ভাবে পেরেছেন পঙ্কজবাবুকে হেনস্থা করেছেন। সম্প্রতি আরজি করের ঘটনার পর কলকাতা পুলিশের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছিলেন পঙ্কজবাবু। তার পর তাঁকে বড়তলা থানায় ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁকে গোটা দিন বসিয়ে রাখা হয়েছিল।’

শুভেন্দুবাবুর স্পষ্ট দাবি, ‘পঙ্কজবাবুর এই অবস্থার জন্য দায়ী মমতা পুলিশ। তারাই তাঁকে চরম উদ্বেগের মধ্যে বেঁচে থাকতে বাধ্য করেছিল। রাষ্ট্রের গঠনমূলক সমালোচনা করা নাগরিকের গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটা হজম করতে পারছেন না।’ শুভেন্দুবাবুর বক্তব্য সমর্থন করে পঙ্কজবাবুর আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘সম্প্রতি একটি ভুল ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে পঙ্কজবাবুকে বড়তলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে যে পরিমাণ হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে তাতে তিনি মানসিকভাবে অত্যন্ত ভেঙে পড়েছিলেন। তাঁকে সেখানে স্থানীয়দের সামনে বিক্ষোভের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়। তাঁকে বিভিন্ন ভাবে অসম্মান করা হয়। এমনকী ৬ ঘণ্টা তাঁকে জল ও চা পর্যন্ত খেতে দেওয়া হয়নি। আমরা সেদিনই ভয় পেয়েছিলাম, এই প্রবীণ মানুষটি না অসুস্থ হয়ে পড়েন।’