February 17, 2025

আইএসএলে হাফ ডজন হার! প্রভাতের লালকার্ড, ঘোর অন্ধকারেই অস্কারের ইস্টবেঙ্গল

0
East bengal

ইস্টবেঙ্গল – ১ (ডিয়ামানটাকোস-পেনাল্টি)
ওড়িশা এফসি – ২ (রয় কৃষ্ণ, মুর্তাদা ফল)

আবার হার। আইএসএলে হাফ ডজন হার। টানা আট পরাজয়। মঙ্গলবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে ওড়িশা এফসির কাছে ২-১ গোলে হার ইস্টবেঙ্গলের। ছয় ম্যাচের সবেতেই হার। কোচ বদলেও ফিরল না ভাগ্য। প্রথমার্ধেই ম্যাচ শেষ করে দিতে পারত অস্কার ব্রুজোর দল। একাধিক সুযোগ পায় কলকাতার প্রধান। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। শেষপর্যন্ত রক্ষণের ভুলের খেসারত দিতে হল। খালি হাতে ফিরছে ইস্টবেঙ্গল। প্রভাত লাকরা লালকার্ড দেখায়, শেষ ১৫ মিনিট দশজনের লাল হলুদের ম্যাচে ফেরা কঠিন হয়ে যায়। ডার্বিতে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই পারেনি ক্লেইটন‌ সিলভা, মাদি তালালরা। তিন পয়েন্ট মাঠে ফেলে এল ইস্টবেঙ্গল।

আইএসএলে‌ ইস্টবেঙ্গলের সেরা প্রথমার্ধ। অস্কার ব্রুজোর দল শুরুতে ঝড় তোলে। প্রথম ১০ মিনিটে পাঁচটা গোলের সুযোগ। তিনটে নিশ্চিত সেভ অমরিন্দর সিংয়ের। ডার্বির ভোরে কলকাতায় পা রেখেছেন কার্লেস কুয়াদ্রাতের উত্তরসূরি। ডার্বির দলে বেশ কয়েকটা পরিবর্তন করেন। প্রথম একাদশে ফেরেন হিজাজি, জিকসন, ডিয়ামানটাকোস এবং বিষ্ণু। ৪-৫-১ ফরমেশনে শুরু করেন অস্কার। ম্যাচের ৩ মিনিটের মাথায় সল ক্রেসপোর গোল অফসাইডের জন্য বাতিল হয়ে যায়। তার দু’মিনিটের মধ্যে বাঁ দিক থেকে নন্দকুমারের জোরাল শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে বাঁচায় ওড়িশার গোলকিপার। তার দু’মিনিটের মাথায় আবার সুযোগ। বক্সের মধ্যে বল পেয়ে ডিয়ামানটাকোসের বাঁ পায়ের শট বাঁচান অমরিন্দর।

ম্যাচের ১০ মিনিটে গোলের আরও একটা নিশ্চিত সুযোগ হাতছাড়া। বল নিয়ে ছয় গজের বক্সে ঢুকে পড়েন বিষ্ণু। নিজে শট নিলে হয়তো গোল হয়ে যেত। কিন্তু ডিয়ামানটাকোসের উদ্দেশে বল বাড়ান। ধরতে পারেনি গ্রিসের স্ট্রাইকার। বিষ্ণুর অভিজ্ঞতার অভাবের খেসারত দিতে হয়। তার এক মিনিটের মধ্যে আবার গোলের সুযোগ। এবার মাদি তালালের শট বাঁচান ওড়িশা কিপার। প্রথম ১০-১২ মিনিট সার্জিও লোবেরার রক্ষণকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়ে ইস্টবেঙ্গল। ২০ মিনিটে প্রথম সুযোগ ওড়িশার। রয় কৃষ্ণর শট স্লাইডিং ট্যাকেলে বাঁচান আনোয়ার। কিন্তু বেশিক্ষণ দুর্গ অক্ষত রাখতে পারেননি। ম্যাচের ২২ মিনিটে ওড়িশাকে এগিয়ে দেন রয় কৃষ্ণ। খেলার গতির বিরুদ্ধে গোল। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে হিজাজি এবং প্রভাতকে পরাস্ত করে ডান পায়ের শটে গোল ফিজির স্ট্রাইকারের।

দুই প্রান্ত থেকে নিখুঁত ক্রস বা সেন্টার তুলতে বেশ কয়েকবার ব্যর্থ হয় বিষ্ণু, নন্দরা। ফলে বলের অপেক্ষা বাড়ে ডিয়ামানটাকোসের। বেশ কয়েকবার মেজাজ হারাতে দেখা যায় তাঁকে। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ ছিল ওড়িশার সামনে। ইসাক রালতের পাস থেকে রয় কৃষ্ণর গোল অফসাইডের জন্য বাতিল হয়ে যায়। বিরতির আগেই সমতা ফেরায় ইস্টবেঙ্গল। বক্সের মধ্যে মাদি তালালের শট থৈবা সিংয়ের হাতে লাগে। পেনাল্টি দেন রেফারি। স্পট কিক থেকে গোল করেন দিমিত্রিয়স ডিয়ামানটাকোস। লাল হলুদ জার্সিতে প্রথম গোল গত আইএসএলের সর্বোচ্চ গোলদাতার। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় ওড়িশা। জাহুর ফ্রিকিক থেকে হেডে গোল মুর্তাদা ফলের। ধারেকাছে ছিলেন না হিজাজি, আনোয়াররা। ওড়িশার ডিফেন্ডার পুরোপুরি আনমার্কড ছিলেন। আইএসএলে এর আগেও বেশ কয়েকবার সেটপিস থেকে গোল করতে দেখা গিয়েছে মুর্তাদাকে। তারপরও কীভাবে ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্ডাররা এমন ভুল করল বোঝা দায়। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ, লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন প্রভাত লাকরা। বাকি ১৫ মিনিট দশজনে খেলতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে। শেষদিকে গোলের জোড়া সুযোগ পান দিয়েগো মরিসিও। ওয়ান টু ওয়ান পরিস্থিতিতে পরিবর্ত ফুটবলারের নিশ্চিত গোল বাঁচান প্রভসুখন গিল।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed