ম্যাচের নায়ক বিশাল, বিনু মাঁকড় ট্রফির শেষ চারে সৌরাশিষের বাংলা
রাজকোট : কোচ সৌরাশিষের বাংলার জয়জয়কার। এক দশকেরও অধিক সময়ের পর রাজকোটে মহারাষ্ট্রকে হারিয়ে ১১ বছর পর বিনু মাঁকড় ট্রফি সেমিফাইনালে উঠল বাংলার অনূর্ধ্ব ১৯ দল। মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ৯৬ রানে জয় পেল সৌরাশিস লাহিড়ির তত্ত্বাবধানে থাকা বাংলার ছোটরা। বাংলার ২৬৯ রানের জবাবে ১৭৩ রানেই শেষ হয়ে যায় মহারাষ্ট্র অনূর্ধ্ব ১৯ দল।
২০১৩ সালে শেষবার বিনু মাঁকড় ট্রফির শেষ চারে পৌঁছেছিল বাংলা। দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষা শেষ করার জন্য মানসিক চাপ তো ছিলই। তবে ব্যাটে অধিনায়ক চন্দ্রহাস দাস ও বলে বিশাল ভাটি বাংলার জয় সুনিশ্চিত করেন। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলা ৪৯ ওভারে নয় উইকেটের বিনিময়ে ২৬৯ রান তোলে। অধিনায়ক চন্দ্রহাস একেবারে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেন। তিনি ১১২ বলে পরিপক্ক ৮২ রানের ইনিংস খেলেন। অগ্নিশ্বর দাসও ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন।
জবাবে আশুতোষ কুমার ও জীৎ ঠাকুর বাংলার হয়ে দুই করে উইকেট নেন। তবে মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দলের হয়ে বল হাতে আগুন ঝরান বিশাল ভাটি। ২৩ রানের বিনিময়ে চারটি উইকেট নেন তিনি। মাত্র ৪১.১ ওভারেই শেষ হয়ে যায় মহারাষ্ট্রের লড়াই। তাঁকেই এই বোলিং পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচ সেরা ঘোষণা করা হয়।
শক্তিধর মহারাষ্ট্রকে হারিয়ে শেষ চারে পৌঁছে খুশি সৌরাশিস জয় নিয়ে খুব বেশি মাতামাতি করতে চাইছেন না। পরবর্তী ম্যাচের কথা ভেবে তিনি বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতার সবথেকে শক্তিশালী দলগুলির অন্যতম মহারাষ্ট্র। দলগত প্রচেষ্টাতেই আমরা ওদের হারিয়েছি। তবে এই ভাবে ওদের হারানোর অনুভূতিটা দারুণ। দলের প্রয়োজনে প্রতিটি খেলোয়াড় এগিয়ে এসে নিজের সেরাটা দিয়েছে। তবে এবার আমাদের পরের ম্যাচের ওপর নজর দিতে হবে।’
বাংলার আরেক বয়সভিত্তিক দলও এদিন বেশ ভাল পারফর্ম করল। রাজস্থানকে পরাজিত করল বাংলার অনূর্ধ্ব ২৩ দল। রবি কুমারের তিন উইকেট ও হর্ষদেব গৌতম ও সৈয়দ ইরফানের দুইটি করে উইকেটের সুবাদে কলনেল সিকে নাইডু ট্রফি ম্যাচের প্রথম দিনে আট উইকেটের বিনিময়ে ২৬১ রানেই রাজস্থানকে আটকে রাখল বাংলা। জয়পুরে রাজস্থানের হয়ে এসএ যাদব সর্বাধিক ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন।