November 2, 2024

৮ আগস্টের রাতে সঞ্জয়ের সঙ্গে কেউ দেখা করেছিল?আরজি কর কাণ্ডে সন্দীপ-অভিজিতের ‘‌কীর্তি’‌ ফাঁস, সিবিআই-এর হাতে ‘‌মুছে ফেলা’‌ প্রমাণ ও নয়া ফুটেজ!‌

0

সিবিআই-এর হাতে নয়া ফুটেজ। রিপোর্টে দাবি, ধর্ষণ ও খুনের মামলায় আরজি করের চারটি হার্ড ডিস্কের ফুটেজ হাতে এসেছে সিবিআইয়ের। ৮ আগস্টের রাতে সঞ্জয়ের সঙ্গে কেউ দেখা করেছিল?‌ নিশ্চিত হতে হার্ডডিস্কের ফুটেজ খুঁটিয়ে দেখা হবে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। আপাতত ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় একমাত্র অভিযুক্ত হিসেবে চার্জশিটে নাম রয়েছে সঞ্জয় রায়ের। সিবিআই আধিকারিকের, তরুণী চিকিৎসকের খুনের ঘটনা পূর্বপকল্পিত হয়ে থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে তদন্তের দ্বিতীয় ধাপে।

রিপোর্টে দাবি, আরজি করের নির্যাতিতারই বিভাগের দুই জুনিয়র ডাক্তারের সঙ্গে খুনের কয়েক ঘণ্টা আগে ছবি আদানপ্রদান হয়েছিল সন্দীপ ঘোষের। এমনকী ভিডিয়ো কলেও নাকি তাঁরা কথা বলেছিলেন। হয়েছিল কনফরেন্স কল। তবে কী ছবি বা ভিডিয়ো আদানপ্রদান করা হয়েছিল, তদন্ত স্বার্থে সেই বিষয়ে সিবিআই আধিকরিকরা মুখ খুলতে নারাজ। সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া স্টেটাস রিপোর্টে সেই সব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিবিআই। সব মিলিয়ে এই দুই জুনিয়র ডাক্তারের সঙ্গে সন্দীপ ঘোষ নাকি ৩০ বারের মতো কথা বলেছিলেন ৮ আগস্ট দুপুর থেকে ৯ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত। দুই জুনিয়র ডাক্তারের রস্টার বদল করা হয়েছিল ৭ আগস্ট। সিবিআই তদন্তে নেমে গত কয়েক মাসের ডিউটি রস্টার খতিয়ে দেখেছে। আচমকা আর কোনও চিকিৎসকের ডিউটি রস্টার বদলের নজির সামনে আসেনি। খুনের নেপথ্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। এমনকী চার্জশিটে নাম না থাকা সত্ত্বেও অভিজিৎ মণ্ডল এবং সন্দীপ ঘোষের জামিনের বিরোধিতা করে আসছে সিবিআই। চার্জশিটে শুধুমাত্র সঞ্জয় রায়েরই নাম আছে। কিন্তু কেন?

আরজি করে চিকিৎসক খুনের ঘটনায় তদন্তের শুরু থেকেই দাবি করা হচ্ছে, এই খুনের নেপথ্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। এমনকী চার্জশিটে নাম না থাকা সত্ত্বেও অভিজিৎ মণ্ডল এবং সন্দীপ ঘোষের জামিনের বিরোধিতা করে আসছে সিবিআই। এই আবহে এবার সন্দীপ ও অভিজিতের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ সামনে এল। আরজি কর কাণ্ডে বেশ কিছু ভিডিয়ো ফুটেজ মুছে ফেলেছিলেন সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডল। রিপোর্ট অনুযায়ী, তদন্তে নেমে বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো ফুটেজ এবং কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক হাতে এসেছিল সিবিআইয়ের। সেখানে দেখা যায়, খুনের ঘটনার পরের কিছু ভিডিয়ো মুছে দেওয়া হয়েছিল। তবে, সিএফএসএলের সাহায্য নিয়ে উদ্ধার করা হয় মুছে ফেলা সেই সব ভিডিয়ো। পরবর্তী চার্জশিটে সেই সমস্ত নথি ও তথ্যপ্রমাণের উল্লেখ করতে পারে সিবিআই। রিপোর্টে দাবি, আরজি করের চেস্ট মেডিসিনি বিভাগের দুই জুনিয়র ডাক্তার এবং সন্দীপের মধ্য ছবি ও ভিডিয়ো আদানপ্রদান হয়েছিল ৮ আগস্ট ও দুপুর থেকে ৯ আগস্ট গভীর রাতের মধ্যে।

কী ছবি বা ভিডিয়ো আদানপ্রদান করা হয়েছিল, তদন্তের স্বার্থে সেই বিষয়ে সিবিআই আধিকরিকরা মুখ খুলতে নারাজ। তবে সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া স্টেটাস রিপোর্টে সেই সব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিবিআই। চেস্ট মেডিসিন বিভাগের সেই দুই জুনিয়র ডাক্তারের সঙ্গে খুনের কয়েক ঘণ্টা আগে পর্যন্ত লাগাতার কথোপকথন হয়েছে সন্দীপ ঘোষের। এমনকী ভিডিয়ো কলেও নাকি তাঁরা কথা বলেছিলেন। হয়েছিল কনফরেন্স কল। সব মিলিয়ে এই দুই জুনিয়র ডাক্তারের সঙ্গে সন্দীপ ঘোষ নাকি ৩০ বারের মতো কথা বলেছিলেন ৮ আগস্ট দুপুর থেকে ৯ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত। খুনের নেপথ্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। এমনকী চার্জশিটে নাম না থাকা সত্ত্বেও অভিজিৎ মণ্ডল এবং সন্দীপ ঘোষের জামিনের বিরোধিতা করে আসছে সিবিআই। চার্জশিটে শুধুমাত্র সঞ্জয় রায়েরই নাম আছে। কিন্তু কেন? রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, যে সকল বায়োলজিকাল প্রমাণ সিবিআইয়ের হাতে আছে, তার ভিত্তিতেই চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে সঞ্জয়ের নামে। তবে খুনের ঘটনা যে পূর্বপরিকল্পিত হয়ে থাকতে পারে, তার সূত্র মিলছে।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed