আরজি কর কাণ্ডে সামনে আসছে বড় নাম? চাঞ্চল্যকর তথ্যে বিপাকে সন্দীপ ঘোষ, জেরা করেছে ইডি
আরজি কর দুর্নীতি কাণ্ডে তদন্তে ইডি। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়া সন্দীপ ঘোষ সহ আরও বাকিদের জেরা ইডির। রিপোর্টে দুর্নীতি সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর অভিযোগ দাবি। সম্প্রতি জেলে গিয়ে সন্দীপ ঘোষ এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের জেরা করেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের আধিকারিকরা। উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সন্দীপ ও তাঁর আত্মীয়দের ব্যাঙ্কে বেআইনি লেনদেনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফরমেশন রিপোর্টে ইডির এফআইরএর মামলার তদন্তে সন্দীপের শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের নামে একাধিক সম্পত্তির দলিল উদ্ধার।
সন্দীপই নিজের আত্মীয়দের নামে এই সব সম্পত্তি কিনে থাকতে পারেন বলে তদন্তকারীদের অনুমান। সম্পত্তি কেনার ওই টাকা কোন উৎস থেকে এসেছে, তা জানতে সন্দীপের আত্মীয়দের লিখিত বয়ানও নেওয়া হয়েছে। সন্দীপ, তাঁর পরিবারের কয়েক জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেআইনি আর্থিক লেনদেন হয়েছে। বেআইনি ভাবে যে সব সংস্থা হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহ করেছিল, তাদেরই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ঘুরপথে কোটি কোটি টাকা সাদা করা হয়েছে বলে দাবি। আরজি কর হাসপাতালে ‘স্কিল ল্যাব’ তৈরিতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ। নিজের ঘনিষ্ঠ সংস্থাকে এই স্কিল ল্যাব তৈরির বরাত দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। সেই সংস্থার নামে তাঁর কাছে অভিযোগ জমা পড়লেও তিনি কোনও পদক্ষেপ করেননি। উলটে প্রভাব খাটিয়ে অভিযুক্ত সংস্থাকেই প্রায় ৩ কোটি টাকার সেই বরাত পাইয়ে দেন। এই দুর্নীতির টাকার একটি অংশ গিয়েছে সন্দীপেরই পকেটে।
২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই রাজ্য সরকার চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের জন্য ‘স্কিল ল্যাব’ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এই আবহে আরজি কর হাসপাতালের তরফ থেকে স্কিল ল্যাব তৈরির জন্যে দরপত্রের আহ্বান করা হয়েছিল। সেখানে বরাত পায় মা তারা ট্রেডার্স। সংস্থাটির মালিক বিপ্লব সিংহ। তিনি আবার সন্দীপ ঘোষের বেশ ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। অভিযোগ, বিপ্লব সিংহ ২ কোটি ৯৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকার দরপত্র দিয়েছিলেন। ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে এই স্কিল ল্যাব তৈরি করতে লেগেছিল মাত্র ৬১ লাখ ৪৭ হাজার ২৯৪ টাকা। আর জি করে চার গুণ টাকা দিয়ে কেন একটি সংস্থা বরাত পেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই ব্যাপারে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে সিবিআই। এদিকে স্কিল ল্যাব ছাড়াও একাধিক ক্ষেত্রে সন্দীপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।