November 2, 2024

বাংলার ঝুলিতে ৩ পয়েন্ট, অভিমন্যুর শতরানের বিপক্ষে প্রিয়ম গর্গের লড়াই উত্তর প্রদেশের বিরুদ্ধে রুখল লক্ষ্মী ছেলেদের

0

রঞ্জি ট্রফিতে উত্তর প্রদেশের বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল বাংলাকে। রঞ্জি অভিযানে শুরুতেই ছয় পয়েন্টের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমে ছিল বাংলা। বেশ ঝুঁকি নিলেও বাংলা দলের লক্ষ্যপূরণ হল না। উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংস লিড পাওয়ার কারণে তিন পয়েন্ট ঘরের তুলল বাংলা। উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংস লিড পাওয়ার কারণে তিন পয়েন্ট বাংলার। ছয় পয়েন্টের বদলে তিন পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল বাংলাকে। অতীতে ভারতের অনূর্ব্ধ ১৯ জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়া দুরন্ত প্রিয়ম গর্গ। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও প্রিয়মকে খেলতে দেখা যায়। এদিনের ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে প্রিয়মের সেঞ্চুরির সুবাদে সরাসরি হার বাঁচাল উত্তরপ্রদেশ।

প্রথম ইনিংসে সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের সেঞ্চুরি ও সুদীপ ঘরামির ৯০ রানের পরও বাংলা মাত্র ৩১১ রানেই আটকে গিয়েছিল। লোয়ার অর্ডারে ব্যাট হাতে ভরসা দিয়েছিলেন শাহবাজ আহমেদ। বল হাতেও ভরসা দেন তিনি। উত্তরপ্রদেশকে ২৯২ রানে অলআউট করে প্রথম ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ লিড নেয় বাংলা। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাকে ব্যাট হাতে ভরসা দেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ও অভিমন্যু ঈশ্বরন। বাংলায় প্রত্যাবর্তনে দু-ইনিংসেই সেঞ্চুরি হতে পারত সুদীপের। তৃতীয় দিনের শেষে পর্যন্ত জুটিতে ১৪২ রান যোগ করেছিলেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ও অভিমন্যু ঈশ্বরন। সুদীপ ৯৩ রানে সাজঘরে ফিরে যান। অভিমন্যুর অপরাজিত ১২৭ রান করেন।

ভারতীয় টেস্ট দলে ঢোকার দাবি আরও জোরালো করলেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। রঞ্জি ট্রফিতে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে শতরান করলেন। এই নিয়ে টানা চারটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে শতরান হল অভিমন্যুর। তবে বাংলার জেতা হল না। ২৫৪/৩ স্কোরে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে বাংলা। উত্তরপ্রদেশের সরাসরি জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৭৪ রান। বাংলার ১০ উইকেট। দুই ওপেনারকে দ্রুতই ফেরান বাংলার দুই পেসার মুকেশ কুমার ও মহম্মদ কাইফ।

প্রিয়ম গর্গ তিনে নেমে ক্রিজে জমে যান। শেষ পর্যন্ত ১৬২/৬ স্কোরে খেলা শেষ হয় এবং দুই অধিনায়ক হাত মিলিয়ে নেন। বুক, কুঁচকি, পাঁজরে আঘাত খেয়েও লড়াই ছাড়েননি প্রিয়ম। শতরান করে দলকে এনে দিয়েছেন এক পয়েন্ট। প্রিয়ম গর্গ একাই ১০৫ রানে অপরাজিত থাকেন। প্রিয়মের উইকেট নিতে পারলে বাংলা হয়তো অলআউট ঝাঁপাতে পারত। তা আর হয়নি। তবে অ্যাওয়ে ম্যাচে তিন পয়েন্ট দিয়ে অভিযান শুরু বাংলা দলের জন্য মন্দ নয়। বাংলার হয়ে প্রত্যাবর্তন ম্যাচেই সেরা হন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। সেঞ্চুরি ও ৯৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। পরের ম্যাচে ১৮ অক্টোবর বিহারের বিরুদ্ধে ইডেন গার্ডেন্সে খেলতে নামবে বাংলা।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed