লক্ষীর ভাঁড়ে জমানো টাকা দিল খুদে! জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন ভাঙার পরে খেতে বলল

প্রতীকী অনশন আট বছরের বালিকার। লক্ষ্মীর ভাঁড়ে করে টাকা নিয়ে এসে ডাক্তার ‘দাদা’ এবং ‘দিদি’-দের হাতে টাকা তুলে দিল পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। আন্তরিকতাই জুনিয়র ডাক্তারদের শক্তি জোগাচ্ছে। বাড়াচ্ছে মনোবল। নিজের জমানো টাকা জুনিয়র ডাক্তারদের দিয়ে গেল খুদে। রবিবার ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে হাজির খুদে। হাতে ছিল ছোট্ট ভাঁড়। সেই ভাঁড় অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের তুলে দেয় খুদে। সঙ্গে বলেছে, ‘ডাক্তার দাদা-দিদিরা অনশন করছে, আমি আমার জমানো টাকা দিয়ে গেলাম। ডাক্তার দাদা-দিদিদের অনশন শেষ হলে ওরা এই টাকা দিয়ে খাবে।’
পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। বয়স মেরেকেটে নয়। খুদের আন্তরিকতায় অভিভূত জুনিয়র ডাক্তাররা। স্রেফ জল খেয়ে একটানা অনশন করে যাচ্ছেন, শক্তি জোগাচ্ছে এরকম আন্তরিকতাই। মনোবল বাড়াচ্ছে। শরীর দুর্বল হয়ে গেলেও মনের জোর এতটুকুও কমছে না। খুদের বিষয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা বলেছেন, ‘গত এক বছর ধরে অল্প-অল্প করে এই লক্ষ্মীর ভাঁড়ে টাকা জমিয়েছে খুদে। আজ সকালে লক্ষ্মীর ভাঁড় হাতে নিয়ে বাবা-মায়ের আমাদের অনশন মঞ্চে আসে। ও ওর লক্ষ্মীর ভাঁড়ে জমানো টাকা ডাক্তার দাদা-দিদিদের হাতে তুলে দিয়ে আন্দোলনের পাশে দাঁড়াতে চায়। প্রথমে আমরা ওর জমানো লক্ষ্মীর ভাঁড়ের টাকা নিতে চাইছিলাম না। শেষপর্যন্ত ওর আবদার ফেলতে পারিনি। ওকে কথা দিয়েছি যে অভয়া দিদির বিচারের জন্য যতদূর যেতে হয়, ততদূর যাব আমরা। কিন্তু লড়াই ছাড়ব না। ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে। যতক্ষণ না হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্যকর্মী ও রোগীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়, ততক্ষণ লড়াই চলবে। এই সমাজকে দুর্নীতিমুক্ত না পর্যন্ত লড়াই চলবে।’

ডাক্তার দাদা-দিদিদের সঙ্গে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন করছে আট বছরের খুদে রস্মিতা ভট্টাচার্য। সে আগেও একাধিক ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে গিয়েছে। নেমেছে রাস্তায়। আর আজ সকাল-সকাল বাবা-মায়ের সঙ্গে অনশন মঞ্চে চলে আসে। ডাক্তার দাদা-দিদিদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অনশনো সেও।