কটাক্ষকে ‘ডোন্ট কেয়ার’, ট্রোলারদের জবাব! লন্ডন জুড়ে ‘দুর্গতিনাশিনী’ ডোনার নাচে প্রতিবাদের ভাষা,

ইতিবাচক ভাবনার প্রচার। লন্ডনের শারদোৎসবে নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যেমে বার্তা ডোনার। লন্ডনে ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় নাচের শো বাতিল হওয়া নিয়ে কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছিল৷ সেই লন্ডনে অনুষ্ঠান শেষে ইতিবাচক ভাবনার প্রচারের বার্তা দিলেন শিল্পী৷ পুজোর মধ্যেই লন্ডনে একের পর এক অনুষ্ঠান ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নৃত্য প্রতিষ্ঠান দীক্ষামঞ্জরীর। নাচের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে প্রতিবাদও। পঞ্চমী থেকে সপ্তমী পর্যন্ত লন্ডনে টানা অনুষ্ঠান। প্রস্তুতি সারতে বেশ কয়েকদিন আগেই পুরো টিম নিয়ে লন্ডনে পৌঁছে গিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রী ডোনা।

দক্ষিণায়ন ইউকের সঙ্গে দীক্ষামঞ্জরীর যৌথ পরিবেশনায় ‘দুর্গতিনাশিনী’ ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘তাসের দেশ’ মঞ্চস্থ। ‘মহিষাসুর মর্দিনী’-ও অনুষ্ঠিত হচ্ছে লন্ডনের রবিদাস কমিউনিটি সেন্টার, সুইস কটেজ লাইব্রেরি হলে। ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় যেমন নিজে পারফরম্যান্সের সঙ্গে নৃত্য পরিচালনা করেছেন, তেমনই সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন আনন্দ গুপ্ত। যুগলবন্দীতে মুদ্ধ দর্শকরা।

লন্ডন থেকে ফোনে ডোনা বললেন, ‘অনুষ্ঠান ঘিরে অসম্ভব সাড়া পেয়েছি। সবাই ভালোবেসে আপন করে নিয়েছেন। লন্ডনেও আমরা কিন্তু প্রতিবাদ থেকে সরে আসিনি। নাচের মাধ্যমে প্রতিবাদ তুলে ধরছি। মহিষাসুরমর্দিনীতে অশুভের বিরুদ্ধে শুভ শক্তির জয়ের কথা বলা হয়েছে। আবার তাসের দেশে আমাদের সমাজের কিছু নিয়মকে ভাঙার উল্লেখ রয়েছে। দুটো ক্ষেত্রেই সুস্থ সমাজের বার্তা দেওয়া হয়েছে। যেটা আমরা সবাই চাই। সেই কারণেই এই দুটো বিষয় বেছে নিয়েছি আমরা।’ সব মিলিয়ে লন্ডন জুড়েও ছড়িয়ে পড়ছে প্রতিবাদের ভাষা।

লন্ডনে নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে মানুষের মন কেড়ে নিচ্ছেন ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর ‘দীক্ষামঞ্জরী’র বাহিনী লন্ডনের রবিদাস কমিউনিটি সেন্টারে মঞ্চস্থ সৌরভ-ঘরণীর নৃত্য পরিচালনায় মহালয়ার পুণ্যতিথির আধারে নির্মিত দুর্গা বন্দনা ‘দুর্গতিনাশিনী’। ইউকে হিন্দু সোসাইটির উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান হয়। সুইস কটেজ লাইব্রেরি হলে মঞ্চস্থ হল ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়। সঙ্গীত পরিচালনায় ডা. আনন্দ গুপ্ত৷ উদ্যোগে ছিল ক্যামডেন পুজো৷ সুইস কটেজ লাইব্রেরি হলে অনুষ্ঠিত হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘তাসের দেশ’। দক্ষিণায়ণ ইউকে এবং দীক্ষামঞ্জরীর উদ্যোগে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।

নাচের অনুষ্ঠান নিয়ে ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “মহিষাসুরমর্দিনী যেমন অশুভ শক্তির উপর শুভ শক্তির জয়ের প্রতীক, অন্যদিকে ‘তাসের দেশ’-এও আছে কিছু বাঁধাধরা নিয়ম ভাঙার কথা। সুস্থ সমাজের ক্ষেত্রে যা কাম্য নয় এমন কিছু নিয়ম ভাঙার কথা। তাই ওঠে সেই ছক ভাঙার ডাক। দুটি প্রযোজনাই একটি ইতিবাচক বার্তা দেয়। সমাজের কল্যাণে, সুস্থ মানসিকতা গড়ার লক্ষ্যে এই ইতিবাচক ভাবনার প্রচার ও প্রসার ভীষণ প্রয়োজনীয়। আমরা শিল্পীরা তাই আমাদের কাজের মধ্যে দিয়ে এই উদ্যোগ নিয়ে চলেছি।”