সিন্ধিয়ার শহরে সূর্যের ছটা! পাণ্ডিয়ার ‘নো লুক আপার কাট’ নিয়ে চর্চা গোয়ালিয়রে
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয় ৭ উইকেটে। মহেন্দ্র সিং ধোনির ‘নো লুক রান আউট’ নিয়ে চর্চা ছিলই। হার্দিক পাণ্ডিয়ার ‘নো লুক আপার কাট’ নিয়েও প্রবল চর্চা। শচীন তেণ্ডুলকরের স্মৃতি সম্বলিত গোয়ালিয়রে হার্দিক পাণ্ডিয়া তূরীয় মেজাজে ব্যাট করলেন। বাংলাদেশের বোলারদের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে ঔদ্ধত্য ফুটে উঠল হার্দিক পাণ্ডিয়ার শরীরী ভাষায়। শুরু থেকে মারমুখী মেজাজে ধরা দিলেন। খেলার একেবারে শেষের দিকে পাণ্ডিয়ার আপার কাট সবার নজর কেড়ে নিল। ব্রিটিশ শাসনের সময় গোয়ালিয়রের শেষ রাজা ছিলেন জিয়াজিরাও সিন্ধিয়া। তাঁর ছেলে মাধবরাও দেশের মন্ত্রী ছিলেন। ৫৬ বছর বয়সে বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন তিনি। সেই মাধবরাওয়ের নামে মাঠ। এখন ৩০ হাজার দর্শক ধরে। প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ তোলে ১২৭ রান। ভারত সেই রান তুলতে খুব বেশি সময় নেয়নি। ৪৯ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে যান সূর্যকুমারেরা।
গোয়ালিয়রে মায়াঙ্ক যাদব গতির ঝড় তোলেন। সঞ্জু স্যামসন দর্শনীয় কিছু শট খেলেন। সূর্যকুমার যাদবেরও ব্যাট কথা বলতে শুরু করেছিল। দিনান্তে সবাইকে ম্লান করে দিলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। সৌজন্যে তাঁর নো লুক আপার কাট। ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ দেখতে রবিবার এসেছিলেন কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তাঁর বাবা মাধবরাও সিন্ধিয়ার নামে তৈরি করা হয়েছে গোয়ালিয়রের নতুন মাঠটি। রবিবার ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ দিয়েই অভিষেক হল শ্রীমন্থ মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামটির। গোয়ালিয়র পেল নতুন আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। যে মাঠে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারাল সূর্যকুমার যাদবের ভারত।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হার্দিক পাণ্ডিয়া বিপজ্জনক ব্যাটার। এদিন ব্যাট করতে আসা ইস্তক হার্দিক পাণ্ডিয়া অন্য গিয়ারে ধরা দেন। বেশ কিছু ভালো শট খেলেন। কিন্তু তাসকিন আহমেদকে মারা নো লুক আপার কাট নিয়েই বেশি চর্চা হচ্ছে সর্বত্র। তাসকিনকে আপার কাটে বাউন্ডারিতে পাঠানোর পরেও পাণ্ডিয়া ঘুরে দেখেননি বলটা কোথায় গেল! তাঁর খেলায় আত্মবিশ্বাসের দ্যুতি ছড়াচ্ছিল। এই হার্দিক পাণ্ডিয়া অন্য অবতারে ধরা দিলেন গোয়ালিয়রে। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতে একটি উইকেটও নেন পাণ্ডিয়া। তিনটি করে উইকেট নিলেন বাঁহাতি পেসার আরশদীপ সিংহ এবং তিন বছর পর দলে ফেরা বরুণ চক্রবর্তী। একটি করে উইকেট নেন মায়াঙ্ক, হার্দিক এবং ওয়াশিংটন।
২০২১ সালে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুবাইয়ে শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন বরুণ। রবিবার ভারতের জার্সিতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গোয়ালিয়রে তিনি যখন খেলতে নামছেন, তখন ভারত মাঝের তিন বছরে ৮৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। খলিল আহমেদ ২০১৯ সালের পর খেলেছিলেন ২০২৪ সালে। তাঁর দু’টি ম্যাচের মাঝে ভারত ১০৪টি ম্যাচ খেলেছিল। বরুণ এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রইলেন। রবিবার সুযোগ পেয়ে ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নিলেন বরুণ। তোহিদ হৃদয়, জাকের আলি এবং রিশাদ হোসেনকে আউট করেন তিনি। ভারতের হয়ে ৫৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা অভিজ্ঞ আরশদীপও তিন উইকেট নেন। ভারতের পরের ম্যাচ দিল্লিতে। ৯ অক্টোবর সূর্যকুমারেরা ষষ্ঠীর খেলবেন সেই ম্যাচ। দিল্লিতে জিতলেই সিরিজ ভারতের।