ডাক্তারকে লাথি পুলিশের! বৃষ্টিস্নাত রাতে ধর্মতলায় প্রতিবাদ মঞ্চ, ডাক্তাররা আমরণ অনশনের ঘোষণা করলেন নিজেদের হাতেই ‘যুদ্ধক্ষেত্র’ তৈরি করে
ধর্মতলায় প্রতিবাদ মঞ্চ। আরও তীব্র আন্দোলন জুনিয়র ডাক্তারদের। কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলেও মঞ্চ ঘিরে চরম নাটকীয় পরিস্থিতি। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই অবস্থান বিক্ষোভ। ত্রিপল খাটিয়ে রীতিমতো দুর্গে পরিণত করা হয়েছিল আন্দোলনস্থলকে। ত্রিপল, ফ্যান খুলে নিয়ে গিয়ে আন্দোলনকে দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগ ওঠে। এবার একই অভিযোগ উঠল ধর্মতলায়। মঞ্চ ঘিরে তৈরি হয় চরম নাটকীয় পরিস্থিতি। ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে ডোরিনা ক্রসিংয়ে আন্দোলনে ডাক্তাররা। অবস্থান মঞ্চ তৈরির জন্যে যে ডেকোরেটরকে ডাকা হয়েছিল, তারা নাকি সেখানে আসেনি। পরে বৃষ্টি ভেজা রাতে জুনিয়র ডাক্তাররাই ভিজতে ভিজতে মঞ্চ বাঁধেন। ডেকোরেটর বেপাত্তা হওয়ায় নিজেরাই বাঁশ দাঁড় করিয়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে নিজেদের ‘যুদ্ধক্ষেত্র’ তৈরি করেন। চিকিৎসকরা সাধারণ মানুষের স্বার্থে কর্মবিরতি তুলে নিচ্ছেন। যদিও যতক্ষণ না বিচার মিলছে, ততক্ষণ তাঁরা আন্দোলন জারি রেখে যাবেন। প্রথম থেকেই পুলিশি অসহযোগিতার অভিযোগ।
আন্দোলনরত চিকিৎসককে লাথি মারার অভিযোগ ওঠে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চরমে ধর্মতলা চত্বরে। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা এসএসকেএম থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত একটি মিছিলের পর ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে এসে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা। জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে সেই মতো প্রস্তুতি নেওয়া হলেও তাঁদের পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয়। ডাক্তাররা দাবি করেন, তাঁদের আগে থেকেই কর্মসূচির জন্যে অনুমতি নেওয়া আছে।
পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, জুনিয়র চিকিৎসকদের কেবলমাত্র এই পর্যন্ত মিছিল করে আসার অনুমতি ছিল। তাই আর কোনও কর্মসূচি করা যাবে না। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের এই যুক্তি মানতে অস্বীকার করেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। এই আবহে কয়েক জন জুনিয়র চিকিৎসক বিক্ষিপ্তভাবে ওয়াই চ্যানেলে বসে পড়েন। পুলিশকর্মীরা তাঁদের সেখান থেকে ওঠানোর জন্য হাত ধরে টানাহ্যাঁচড়া শুরু করে দেন। জুনিয়র চিকিৎসকদের আর একটি দল ওয়াই চ্যানেলে এসে পৌঁছয়। সাংবাদিক বৈঠকের জন্যই একটি গাড়িতে চাপিয়ে তাঁরা কিছু আসবাবপত্র নিয়ে এলে, পুলিশ সেই গাড়ি আটকে দেয় বলে অভিযোগ। সেই সময়েই মেডিক্যাল কলেজের এক জুনিয়র চিকিৎসককে পুলিশকর্মীরা লাথি মারেন বলে অভিযোগ। চিকিৎসকদের উদ্দেশে পুলিশ অশালীন মন্তব্য করে বলেও আন্দোলনকারীদের দাবি।