৮০০০০ বছরে প্রথম! আকাশ জাদুময়! বেঙ্গালুরুর আকাশে এক রহস্যময় রঙিন আলো
ঠিক ৮০০০০ বছর পর। বিরল জ্যোতির্বিদ্যার ঘটনা! বেঙ্গালুরুর আকাশে ফুটে উঠল রঙিন আলো। বিরাট কৌতূহল মানব মনে। বিরল জ্যোতির্বিদ্যার ঘটনা। অদ্ভুত আকাশ। হলুদ, গোলাপি রং ছড়িয়ে ছিটিয়ে চারিদিকে। আকাশে অদ্ভুত আলোর উদয়। চমকে গিয়েছেন স্থানীয়রা। কয়েক দিন ধরে এই টেক শহরের আকাশে এমন কিছু বিরল ঘটনা ঘটছে, যা দেখার জন্য মানুষ খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠছে। দেখতে রামধনুর মতো হলেও বাস্তবে অন্য কিছু। রামধনুর চেয়েও অনেক গাঢ় এই অদ্ভুত আলোয় মিশে রহস্যের গন্ধ।
বায়ুমণ্ডলীয় ঘটনা বলছেন। রঙিন ঘটনা দেখে কেউ বলছেন, ‘বেঙ্গালুরুর আকাশটা জাদুময়! এই ঘটনাকেও কী বলে?’ বেঙ্গালুরুর মানুষ এই ধূমকেতুর, অসংখ্য আশ্চর্যজনক ছবি তুলেছেন। কেউ কেউ এটিকে আকাশে একটি উজ্জ্বল তারা হিসাবে দেখেছেন। রঙিন মেঘ ভেবে নিয়েছেন কেউ। বিজ্ঞানীরা বলেছেন এটা আসলে আকাশের ধূমকেতু। বেঙ্গালুরুর উপর দিয়ে যাওয়া কোনও ধূমকেতুর যাওয়ার সময় এই রঙিন আলো ছড়িয়ে গিয়েছে। ধূমকেতুটিকে বলা হয় ধূমকেতু সি/২০২৩ এ৩ (Tsuchinshan-ATLAS)। একটি বিরল ধূমকেতু যা সবেমাত্র পৃথিবীর কাছাকাছি এসেছে। হ্যালির ধূমকেতুর মতো নিয়মিত ধূমকেতু নয়। ধূমকেতু সি/২০২৩ এ৩ অপ্রত্যাশিত। বেঙ্গালুরুর একজন জ্যোতির্পদার্থবিদ ব্যাখ্যা করেছেন যে এই ধরনের ধূমকেতু প্রধানত আমাদের সৌরজগতের বাইরে থেকে আসে। ধূমকেতু সি/২০২৩ এ৩, চিনের পার্পল মাউন্টেন অবজারভেটরিতে ৯ জানুয়ারী, ২০২৩-এ পাওয়া গিয়েছিল। জ্যোতির্চিত্রবিদ উপেন্দ্র পিনেলি বলেছেন, ‘এই ধূমকেতু আমাদের সৌরজগতে প্রতি 80,000 বছরে একবার আসে। পৃথিবী থেকে প্রায় ১২৯.৬ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে এবং বর্তমানে সেক্সটান নক্ষত্রমণ্ডলে অবস্থিত।’