‘হুমকি সংস্কৃতি’তে অভিযুক্ত পুলিশ! প্রতিবাদ করলেই অনেকেকেই তুলে এনে জেরা!

অভিযোগ ১- ‘‘মিথ্যা মামলাতেও ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালের হুমকি সংস্কৃতি নিয়ে এত কথা হচ্ছে, কিন্তু পুলিশ যে দিনের পর দিন ডেকে হুমকি দিয়ে চলেছে, সে নিয়ে কেন কিছু হচ্ছে না?’’
অভিযোগ ২-‘‘আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে শামিল হওয়ার পরের দিন ফোন করে থানায় ডেকে পাঠানো হয়। এর পরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রেখে মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। তাতে থাকা আন্দোলনের সময়ে তোলা ভিডিয়ো দেখিয়ে বলা হয়, আমি নাকি লোক খেপানোর চেষ্টা করছি। সব ডিলিট করিয়ে দেওয়া হয়। ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিয়োও ডিলিট করানো হয়েছে।’’
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক-পড়ুয়াকে খুন এবং ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে শামিল হওয়া অনেকেই এখন এমন পুলিশি হুমকির মুখে বলে অভিযোগ। অনেকেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁদের দাবি, পুলিশের এই ‘হুমকি সংস্কৃতি’ চলছে দিনের পর দিন। কোনও ভাবেই নিস্তার পাওয়া যাচ্ছে না। পরিস্থিতির বদল না হলে বড় আন্দোলন।
নষ্ট সিসিটাভি ফুটেজ, বদল রক্তের নমুনা, আরজি করের সুপ্রিম শুনানি। গুরুতর অভিযোগ। দাবি, আরজি করের সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট করা হয়েছিল। এবং শুধু তাই নয়, মৃত চিকিৎসকের রক্তের নমুনাও নাকি পালটে দেওয়া হয়েছিল। সেই রাতে চিকিৎসকককে একটা ঘরে অত্যাচার করে, এরপর অন্য ঘরে নিয়ে গিয়ে দেহ রেখে দিয়ে আসা হয়। খুনে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার এবং এক পুলিশ আধিকারিক একই সঙ্গে, একই জেলে। ঘটনায় গ্রেফতার সিভিক ভলান্টিয়র। সঙ্গে একই জেলে বন্দি টালা থানার ওসি আর সন্দীপ ঘোষ। সরকারি হাসপাতালে ৩৬ ঘণ্টা ডিউটির পর ডাক্তার বোনকে রক্ষকের হাতে ধর্ষক হতে হয়। দিনের পর দিন অভিযোগ আরও তীব্রতর।