আবার আক্রান্ত জুনিয়র ডাক্তাররা, সাগর দত্তের পর এবার ন্যাশনাল মেডিক্যালের ঘটনায় ‘নিষ্ক্রিয় পুলিশ’
এবার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। সাগর দত্ত হাসপাতালের পুনরাবৃত্তি। জুনিয়র চিকিৎসকদের ওপর ‘হামলার’ অভিযোগ। কলকাতার আরও এক মেডিক্যাল কলেজে। চিকিৎসকদের অভিযোগ, হামলার সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত অথচ নিষ্ক্রিয়। বেনিয়াপুকুর থানায় এফআইআর দায়ের। রবি ভোররাতে ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা এক রোগীর হাতে গভীর এক ক্ষত ছিল। জরুরি বিভাগে থাকা ৫ জন ইন্টার্ন সেই রোগীকে দেখে জানান,অপারেশন করতে হবে। অপারেশন করাতে রাজি হননি রোগীর পরিবার। দাবি করেন, ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে দিতে হবে ক্ষতস্থান। সেটা সম্ভব নয় বলে জানান উপস্থিত চিকিৎসকরা। এরপরই চিকিৎকদের ওপর চড়াও রোগীর পরিবার। অভিযোগ, ডাক্তারদের উদ্দেশে অশ্রাব্য গালিগালাজের পর প্রাণে মারার হুমকি। রোগীর সঙ্গে আগত ব্যক্তিরা মদ্যপ ছিলেন বলে অভিযোগ। জুনিয়র ডাক্তারদের অবশ্য অভিযোগ, এই ঘটনার সময় পুলিশ থাকলেও নিষ্ক্রিয়।
আরজি কর মামলার সুপ্রিম শুনানিতে রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, পরবর্তী সাত থেকে ১৪ দিনের মধ্যে সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে। ডাক্তারদের অভিযোগ, সেই প্রতিশ্রুতির পর প্রায় ২ সপ্তাহ কেটে গেলেও এই বিষয়ে কাজ প্রায় শুরুই করেনি প্রশাসন। সাগর দত্ত হাসপাতাল চত্বর জুড়ে বর্তমানে ১০০টিরও কম সিসিটিভি ক্যামেরা আছে বলে অভিযোগ। কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছিল, মোট ৩৬০টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে। কিন্তু কোনও কাজই হয়নি। ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে। মৃত রোগীর পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসকদের এবং নার্সদের মারধর করেছিল। রাজ্য জুড়ে জুনিয়র ডাক্তাররাও সার্বিক ভাবে সোমবার থেকে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি।