সবজির দাম আকাশছোঁয়া! লঙ্কা, বেগুন হাঁকিয়েছে সেঞ্চুরি, টাস্ক ফোর্সের ভুমিকা?
বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে বন্যা পরিস্থিতি। দুর্গাপুজোর আগে এই অবস্থায় হু হু করে বাড়ছে সবজির দাম। মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে আনাজের দর। এই অবস্থায় নামছে টাস্ক ফোর্স। প্রশ্ন উঠছে, বন্যার জন্যই কি এত দাম সবজির? কী বলছেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা? টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা বন্যার অজুহাতে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। গরমের ফসল পটল, ঢেঁড়স, ঝিঙের যোগান এখন কমেছে, তার মানে এই নয় যে সবজিগুলির দাম হু হু করে বাড়বে। তাঁর মতে স্টোরে আলুর জোগানের যা অবস্থা তাতে জ্যোতি আলুর দাম এখন ৩০ টাকা প্রতি কেজির বেশি হওয়ার কথা নয়। বাজারে গেলেই সবজিতে হাত দিলেই কার্যত ছ্যাঁকা লাগছে দামের! দুর্গাপুজো তারপর লক্ষ্মীপুজো, তার আগে এখনই লঙ্কার দাম ১০০ টাকা প্রতি কেজি। বাজারে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে, ঝিঙে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কোথাও বিকোচ্ছে। ঢেঁড়স কোথাও ২০ থেকে ৮০ টাকা, কোথাও ৭০ থেকে ৮০ টাকা কিলো প্রতি বিকোচ্ছে। করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে কোথাও কোথাও বিক্রি হচ্ছে, পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, আদা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, রসুনের দাম ৩০০ থেকে ৪০০র মধ্যে ঘোরাফেরা করছে কেজি প্রতি। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় রসুনের দাম ৩৫০ টাকা কেজি প্রতির আশপাশে ঘুরছে, দক্ষিণবঙ্গে বহু এলাকায় সেই দাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে থাকছে।
প্রতি বছরই আনাজের দাম বাড়ে, কারণ গরমের আনাজের যোগান কমে এই সময়। তাই বলে কলকাতার বাজারে কেই বন্যার অজুহাতে সবজির দাম বাড়িয়ে দেবেন, তা ঠিক নয়, বলছেন কমল দে। এদিকে, বিক্রেতারা বলছেন, ভিন রাজ্য থেকে আসা টমেটো, ক্যাপসিকামের দামও বেড়েছে। রাজ্য টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের মত, আরামবাগ ও ঘাটালে বন্যার জেরে বহু ফসল জমিতে নষ্ট হয়েছে। তাঁদের মতে, সেই ফসল নষ্টের সরাসরি প্রভাব কলকাতার বাজারে সেভাবে পড়া উচিত নয়, কারণ কলকাতায় আনাজ আসে দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া, হাওড়া থেকে। তাঁরা বলছেন, এই সমস্ত জায়গায় যা বৃষ্টি হয়েছে, তাতে ফসলের তেমন ক্ষতি হয়নি। এদিকে, বিক্রেতাদের দাবি, অতিবৃষ্টিই আনাজের দাম বৃদ্ধির মূল কারণ। অতি বৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে, বেগুন, পটল, শসা উচ্ছের। বাঁকুড়ায় সাধারণত দামোদরের তীরেই চাষ হয় সাধারণত, ৩ থেকে ৪ দিনের ব্যবধানে কার্যত আনাজের দাম কেজিতে ২০ টাকা করে বৃদ্ধি পাচ্ছে।