শৈলশহরে তীব্র গরমের দাবদাহ! দার্জিলিঙে হোটেলবন্দি পর্যটকরা, স্থানীয়রা ছুটছেন এসি কিনতে!
দার্জিলিঙে হোটলবন্দি পর্যটকরা। স্থানীয় বাসিন্দারা ভিড় জমাচ্ছেন এসি, ফ্যানের দোকানে। দক্ষিণবঙ্গের গরম থেকে বাঁচতে পর্যটকেরা দার্জিলিঙে। আক্ষেপের সুরে বলছেন, দার্জিলিং শহরজুড়ে এমন গরমের দাপট শুরু হচ্ছে যে হোটেলের ঘর ছেড়ে বেরোতেই ইচ্ছা করছে না! অনুযোগের একই সুর স্থানীয় বাসিন্দাদের গলাতেও। পাহাড়ের যে মানুষজন ছোট থেকে সিলিং ফ্যান ছাড়াই বড় হয়েছেন, সেপ্টেম্বরের শেষে তাঁরাও দোকানে ছুটছেন পাখা, এসি কিনতে!
বিশ্বজুড়ে উষ্ণায়নের দাপট বাড়ছে, তাতে সর্বত্রই গরম বাড়ছে। দার্জিলিং শহরও তার ব্যতিক্রম নয়। দার্জিলিঙে পাহাড় কেটে বাড়ি, হোটেল বানানোর ধুম বেড়েছে। এতে শুধু পাহাড়ের ক্ষতি হয়নি, সবুজও ধ্বংস হয়েছে। শুধু দার্জিলিং নয়। উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলা যেমন কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন জায়গাতেও আগের তুলনায় গরমের দাপট বেড়েছে। পুজোর ছুটির মরশুম শুরু হওয়ার ঠিক আগে দার্জিলিং শহরের মানুষকে পাখা, এসি কিনতে হচ্ছে।
দার্জিলিংয়ে বেড়াতে আসা পর্যটকদের অধিকাংশই বাঙালি। একটা বড় অংশ আবার দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দা। কম খরচে পাহাড় ঘুরতে এবং কিছুটা শীতের আমেজ নিতেই তাঁরা দার্জিলিং আসেন। পাহাড়ে এসেও গরমের হাত থেকে বাঁচতে দুপুরের রোদে হোটেলবন্দি থাকতে হয়, আগামী দিনে পাহাড়ের পর্যটনে তার কোনও বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তেও পারে।
শতাব্দীতে এবছরের সেপ্টেম্বর মাসে রেকর্ড গরম পড়েছে দার্জিলিঙে। দার্জিলিঙের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। উত্তরবঙ্গের উপরের জেলাগুলিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করেছে ৩৫ থেকে ৩৯ ডিগ্রির মধ্যে।