October 5, 2024

ময়নাতদন্ত করানোর জন্য কীসের এত তাড়াহুড়ো ছিল?কার নির্দেশে এসব হচ্ছিল? তৃণমূল কংগ্রেসের চিকিৎসক-বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই হানা

0

আরজি করের এক চিকিৎসক বলেন, ‘মেয়ের কাকা পরিচয় একজন ছিল। সে বলেছিল ওইদিন পোস্ট মর্টেম না করানো হলে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেবে। একজন এক্স কাউন্সিলর বলে একজন ছিলেন। নাম বলতে পারব না। তিনি রক্তের সম্পর্কের কেউ নন। বাইরের কেউ। বলেছিল ওই দিনই পোস্টমর্টেম করতে হবে। না হলে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেবে। তিনি হলেন চিকিৎসকের বাড়ি যেখানে সেখানকার।’ নিহত মহিলা চিকিৎসকের ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস এই দাবি করেন। চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস রবিবার সিজিও কমপ্লেক্সে এসেছিলেন। চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, সৌরভ পালও এসেছিলেন সিবিআই দফতরে। তদন্তের পরতে পরতে উঠে আসছে একাধিক নাম। মূলত দুর্নীতির প্রসঙ্গে উঠছে নানা নাম।

ফের তৃণমূল কংগ্রেসের চিকিৎসক-বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই হানা। সিঁথিতে সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে হাজির হয় তদন্তকারীদের একটি দল। প্রায় তিন চার ঘণ্টা ছিল সিবিআইয়ের দল। ১২ সেপ্টেম্বর শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে। আরজি কর দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে ৬ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। রিপোর্ট অনুযায়ী, সেদিন তৃণমূল বিধায়ক তথা আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির সদ্য প্রাক্তন সভাপতি ডঃ সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। এছাড়া উত্তর কলকাতায় তাঁর নার্সিংহোমেও তল্লাশি চলে। পাশাপাশি হুগলির দাদপুরের দাঁড়পুর গ্রামে সুদীপ্ত রায়ের বাংলোতেও ইডি অভিযান চালায়। এছাড়াও বালিগঞ্জে এক ওষুধ ব্যবসায়ীর বাড়িতে পৌঁছায় ইডি। সেই ব্যবসায়ীর নাম সন্দীপ জৈন। সেদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাঁর বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। সুদীপ্তর সিঁথির নার্সিংহোমেও চলে তল্লাশি অভিযান। পরে তাঁকে সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সেও ডাকা হয়। সিবিআই-ইডি ও স্টেট ভিজিল্যান্স কমিটিতে লিখিত অভিযোগও জমা পড়ে সুদীপ্ত রায়ের নামে। সেন্ট্রাল ল্যাব, কার্ডিওলিজর মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট, নার্স নিয়োগে সুদীপ্ত রায় প্রভাব খাটাতেন বলে অভিযোগ করা হয়।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed