মশাল হাতে পথে নাগরিক সমাজ, ধর্না শেষ, মিছিল করে সিজিওয় জুনিয়র ডাক্তারেরা
স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্না প্রত্যাহার জুনিয়র ডাক্তারদের। এরপর স্বাস্থ্য ভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত মিছিল। মিছিল শেষে ধর্না প্রত্যাহারের কথা জানান আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারেরা। মিছিলে যোগ দিয়েছেন সাধারণ মানুষও। আরজি কর-কাণ্ডে প্রতিবাদের শহরের অন্য প্রান্তে এক অভিনব মিছিল। হাইল্যান্ড পার্ক থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত রিলে মশাল মিছিলেও পা মেলান সাধারণ মানুষ। বিকেল ৩টে নাগাদ ধর্নামঞ্চ থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত জুনিয়র ডাক্তারদের একটি মিছিল হবে। সেই ঘোষণা মতো শুক্রবার বিকেলে মিছিল করেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে মিছিল শেষ করে তাঁরা জানান, ধর্না তুলে নেওয়া হচ্ছে। শনিবার থেকেই জরুরি পরিষেবায় কাজ শুরু করবেন।
৪৩ দিনের অবস্থানে ইতি, সহমত-দ্বন্দ্বের নানা বাঁক ডাক্তারদের আন্দোলনে, শেষ দিনেও টানাপড়েন
শুক্রবার যখন স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকে জুনিয়র ডাক্তারেরা মিছিল। অপরদিকে হাইল্যান্ড পার্কে জমায়েত করেন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষ। সেই জমায়েতে ছিলেন জুনিয়র ডাক্তার, ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডান সমর্থক, বিভিন্ন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী, শিল্পী, তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী এবং নাগারিক সমাজ। বিকেল ৪টের পর হাইল্যান্ড পার্ক থেকে শুরু হয় মিছিল। ৪২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে হাইল্যান্ড পার্ক থেকে মশাল হাতে হাতে মিছিল পৌঁছবে শ্যামবাজারে। অভিনেত্রী ঊষসী চক্রবর্তী, রুপা ভট্টাচার্য, নাট্যব্যক্তিত্ব সৌরভ পলৌধি-সহ অনেকেই পা মিলিয়েছেন শুক্রবারের এই কর্মসূচিতে। আছেন রিমঝিম সিংহেরাও। রিমঝিমের ডাকেই গত ১৪ অগস্ট ‘রাত দখল’করেন মেয়েরা। শুক্রবার রাত ১২টা নাগাদ শ্যামবাজারে এই মিছিল শেষ হবে। শেষ পর্যন্ত সর্বসম্মত ভাবেই কর্মবিরতি আংশিক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। আন্দোলনে সিনিয়র ডাক্তারদের একটি বড় অংশ পাশে থেকেছে জুনিয়র ডাক্তারদের। সরাসরি সমর্থন এবং সাহায্যও করেছেন তাঁরা। জুনিয়র ডাক্তারদের একটি অংশের বক্তব্য, সিনিয়র ডাক্তারদের একটি অংশ চেয়েছিল, যাতে অন্তত পুজো পর্যন্ত কর্মবিরতি জারি থাকে।