ম্যাকলারেন-অ্যালবার্তো নাও খেলতে পারেন! এএফসিতে গোল না হজম করাই লক্ষ্য মোলিনার
ফোকাস এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু-তে। বুধে ঘরের মাঠে তাজিকিস্তানের রাভসন এফসির বিরুদ্ধে নামবে মোহনবাগান। আইএসএলের উদ্বোধনী ম্যাচের ব্যর্থতা অতীত। গ্রুপে কলকাতার প্রধানের সবচেয়ে সহজ ম্যাচ। বাকি দুই প্রতিপক্ষ ইরানের ট্রাক্টর এসসি এবং কাতারের আল ওয়াকরা এসসি যথেষ্ট শক্তিশালী। তুলনায় হোম অ্যাডভান্টেজ কাজে লাগিয়ে রাভসনের বিরুদ্ধে জেতার সুযোগ রয়েছে মোহনবাগানের। কিন্তু এএফসিতে অভিযান শুরু করার আগে কিছুটা চাপে হোসে মোলিনা। সাতজন বিদেশি নিয়ে এসেছে প্রতিপক্ষ ক্লাব। সেখানে দুই বিদেশি জেমি ম্যাকলারেন এবং অ্যালবার্তো রদ্রিগেজ অনিশ্চিত। সেই অর্থে চারজন ফিট বিদেশিকে পাচ্ছেন হাবাসের উত্তরসূরি। অস্ট্রেলিয়ান বিশ্বকাপার দলের সঙ্গে পুরোদমে অনুশীলন শুরু করেছেন। কিন্তু ম্যাকলারেনের খেলার সম্ভাবনা কম। আঠারো জনের দলে হয়তো রাখা হবে তাঁকে। এদিন দলের সঙ্গে প্র্যাকটিস করেননি অ্যালবার্তোও। মোলিনা বলেন, ‘জেমি আগের থেকে ভাল জায়গায় আছে। পুরোদমে প্র্যাকটিস শুরু করেছে। ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছে। পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেব। ছয় বিদেশির মধ্যে জেমি এবং অ্যালবার্তো অনিশ্চিত। বাকিদের পাওয়া যাবে। আমরা সেরা একাদশই নামাব। চোট-আঘাত খেলারই অঙ্গ। ওরা সব বিদেশিদের খেলানোর সুবিধা পাবে কিনা সেই নিয়ে ভাবছি না। আমরা জয়ের জন্যই খেলব।’
শুরুতে গোল করে এগিয়ে গেলেও প্রত্যেক ম্যাচে গোল হজম করছে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। ডুরান্ডের সেই ধারা আইএসএলেও অব্যাহত। আগের দিন মুম্বই সিটির বিরুদ্ধে জোড়া গোলে এগিয়ে গেলেও ম্যাচ ড্র করে মোহনবাগান। বুধবার এএফসিতে আর সেই ভুল করতে চান না স্প্যানিশ কোচ। রক্ষণের দুর্বলতার কথা মানতে চাইলেন না। দাবি করেন, কয়েকটা ভুলের খেসারত দিতে হচ্ছে। তারকাখচিত স্ট্রাইকিং লাইন আপের ফায়দা তুলে গোল সংখ্যা বাড়ানো লক্ষ্য বাগান কোচের। মোলিনা বলেন, ‘আমাদের গোল সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। আর কম গোল খেতে হবে। প্রত্যেক ম্যাচ আলাদা। আমরা শুধু পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবছি। আমার মনে হয় না রক্ষণ খারাপ খেলছে। আমরা ভাল ডিফেন্ড করছি। কয়েকটা ভুলের জন্য গোল খেতে হচ্ছে। আমাদের গোল না হজম করার চেষ্টা করতে হবে। আমরা সবাই ক্লিনশিট রাখতে চাই।’ ডুরান্ড এবং আইএসএলের প্রথম ম্যাচের ব্যর্থতা পেছনে ফেলে সম্পূর্ণ এক ভিন্ন মোহনবাগান দলকে কি দেখা যাবে? ভাল রেজাল্টের বিষয়ে আশাবাদী হলেও মোলিনা জানিয়ে দিলেন, একই দল নিয়ে রাতারাতি খেলার স্টাইলে আমূল বদল আনা সম্ভব নয়। মোলিনা বলেন, ‘টুর্নামেন্ট আলাদা। দল আলাদা। কিন্তু আমাদের দল এক, প্লেয়াররা এক। তাই আইএসএলের সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের খুব পার্থক্য হবে না। খেলার স্টাইলে খুব বেশি পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়।’
প্রতি ম্যাচেই রক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আগের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নামতে চান টম অ্যালড্রেড। বুধবার তাঁরও লক্ষ্য ক্লিনশিট রাখা। টম বলেন, ‘প্রত্যেক দিন উন্নতি করার চেষ্টা করছি। অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেব। ডিফেন্ডার হিসেবে আমার কাজ ক্লিনশিট রাখা। দলে নতুন কোচ, নতুন প্লেয়ার। আমরা ধীরে ধীরে উন্নতি করছি। আমাদের প্রত্যেক ম্যাচে ২-৩ টে গোল করতে হবে।’ রাভসন এফসি সম্বন্ধে ধারণা রয়েছে মোলিনার। তাঁদের কয়েকটা ম্যাচের ভিডিও দেখেছেন বাগান কোচ। চাপ কাটিয়ে সমর্থকদের উপস্থিতি কাজে লাগাতে চান স্প্যানিয়ার্ড।
অন্যদিকে হোমওয়ার্ক করে এসেছেন বিপক্ষের কোচ মামি নাজারজাদে মাসুদ। ভারতীয় ফুটবল এবং মোহনবাগান সম্বন্ধে অবগত রাভসনের কোচ। মামি মাসুদ বলেন, ‘আমরা মোহনবাগানের খেলা দেখেছি। ওরা ভাল অবস্থায় আছে। গত পাঁচ বছরে অনেক উন্নতি করেছে। সবে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ শুরু হয়েছে। শারীরিকভাবে দলটা ভাল জায়গায় আছে। আগের ম্যাচে খুব বেশি জোর ব্যবহার করেনি। ওরা ভাল কন্ডিশনে আছে।’ রাভসনে কয়েকজন আফ্রিকান ফুটবলার সহ সাতজন বিদেশি নিয়েই কলকাতায় তাজিকিস্তান।