সুস্মিতার মহৎ চিন্তাভাবনা, আর জি করের নির্যাতিতার উদ্দ্যেশে পদক উৎসর্গ সোনার মেয়ের
‘মা, আমাদের তো কেউ নেই আর’! রাইকে দেখে হাউহাউ করে কেঁদে উঠলেন তিলোত্তমার বাবা-মা। সদ্য জিতে আসা আন্তজার্তিক পদক আরজিকরের নির্যাতিতা চিকিৎসককে উৎসর্গ করতেই তিলোত্তমার বাড়ি ছুটে গিয়েছিলেন সুস্মিতা (ডাকনাম রাই)।
চরম আর্থিক সঙ্কট। মায়ের গয়না বন্ধক রেখে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পদার্পণ। তা সত্ত্বেও সোনা জয়। শ্রীলঙ্কার মাটিতে আয়োজিত এশিয়া প্যাসিফিক যোগাসন প্রতিযোগিতায় জোড়া পদক জয়ী সুস্মিতা।
অর্থের অভাবে তাঁর শ্রীলঙ্কা সফর নিয়েই ছিল ঘোর অনিশ্চয়তা। জনাকয়েকের তৎপরতায় শ্রীলঙ্কার মাটিতে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্নপূরণ হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের কন্যার। গর্বের মুহূর্ত উপহার সুস্মিতা দেবনাথের।
শ্রীলঙ্কার মাটিতে আয়োজিত এশিয়া প্যাসিফিক যোগাসন প্রতিযোগিতায় জোড়া পদক জয়ী সুস্মিতার সুন্দর মুখে স্বস্তির হাসি।
সেই হাসি নির্দ্বিধায় বিলিয়ে দিলেন নির্যাতিতার পরিবারকে। রাইয়ের মা মামনি দেবনাথ বেসরকারী ব্যাঙ্কের ক্যাজুয়াল কর্মী। বাবা শ্যামল দেবনাথ ছোট্ট কাপড়ের দোকান চালান। ভাই সামায়ন দেবনাথ ক্রিকেটার হওয়ার লক্ষ্যে অবিচল।
দুবাইয়ে আন্তর্জাতিক যোগাসন প্রতিযোগিতায় তিনটি পদক জিতে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন হাওড়ার মেয়ে সুস্মিতা। সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে মায়ের গয়না বন্ধক রেখে টাকা ঋণ নিতে হয়েছিল তাঁকে।
শ্রীলঙ্কায় এশিয়া প্যাসিফিক যোগাসনের যোগ্যতা অর্জন করলেও অর্থভাবে তাঁর শ্রীলঙ্কা সফর নিয়ে তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা।
শ্রীলঙ্কার টুর্নামেন্টে শুধু রেজিস্ট্রেশনের খরচ ছিল ৫৫ হাজার টাকা। সঙ্গে যাতায়াত সহ অন্যান্য খরচ। সেই পরিস্থিতিতে সুস্মিতা পাশে পেয়ে যান সাধারণ মানুষকে। আপাতত লক্ষ্য অনেক।
কিন্তূ প্রয়োজন অর্থ। নিজেই যোগার স্কুল চালিয়ে অর্থ জোগাড় করতে মরিয়া সুস্মিতা। প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে এগিয়ে চলেছেন দ্বাদশী ‘রাই’।