October 12, 2024

অপূর্বর মীরাক্কেল প্রতিবাদ!‌ভয় পেয়েছে বলে নির্লজ্জশ্রী জনগনের ট্যাক্সের টাকায় ২১টা আইনজীবী পুষছে?‌

0

অপূর্বকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘একটু নিচে নামলাম। এই পশ্চিমবঙ্গে প্রত্যেকমুহূর্তে ভয়। ভূতের ভয়! অদ্ভূতের…।’ আরজি কর কাণ্ডের পর রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদের আবহ। এই ঘটনা যেন এক ধাক্কায় এরাজ্যের ছবিটা বদলে দিয়েছে। নির্যাতিতার বিচার চেয়ে মানুষ এখন ক্ষোভে ফুঁসছে। ঠিক তখনই এরাজ্যের আরও নানান বিষয় নিয়ে একটু অন্য়ভাবে প্রতিবাদে মুখর হলেন মীরাক্কেল খ্যাত জনপ্রিয় কমেডিয়ান অপূর্ব রায়। অপূর্বকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘একটু নিচে নামলাম। এই পশ্চিমবঙ্গে প্রত্যেকমুহূর্তে ভয়। ভূতের ভয়! অদ্ভূতের…।’

https://x.com/CpimBirbhumDC/status/1835291541340139896?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1835291541340139896%7Ctwgr%5E9271c516af97120cb961167e27fe3e587501b81b%7Ctwcon%5Es1_c10&ref_url=https%3A%2F%2Fbangla.hindustantimes.com%2Fentertainment%2Fmirakkel-akkel-challenger-7-fame-apurba-roy-post-a-video-about-fear-raised-some-question-31726458961570.html

বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘কাটমানি, ছাটমানি, পাটমানি, সবকিছু কেটেছেটে এলাকার রাস্তায় কালো পিচ পড়ল। এক বর্ষায় সেই পিচ ছুয়ে কালীঘাটের দিকে বয়ে গেল। রাস্তার হাল এখন সন্দীপ ঘোষের মনের থেকেও খারাপ। সেই রাস্তা দিয়ে ইস্কুল পড়ুয়ারা সাইকেল চালিয়ে ঠিক করে যেতেও পারে না। হাঁটুর ব্যাথা, প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বয়ঃজ্যেষ্ঠরা রাস্তা পার হয়। এই বিষয় নিয়ে আমি প্রতিবাদ করি না। যদি রাত্রিবেলা দিদির লোকেরা ঢুকে যায়। রাস্তায় হিজড়ে মাসি ধরলে টাকা চায়, টাকা না দিলে অভিষাপ দেয়। আমি এই বিষয়ে প্রতিবাদ করিনা, ভয়ে। যদি অভিষাপের মাত্রা বেড়ে যায়। সাউথে পুলিশ (পুলিশ গ্রেফতার করবেন না প্লিজ) ট্রাফিক সামলায় কম, ছোটহাতি, লরি ধরে বেশি। দেশাত্মবোধক ড্রেস পরা সিভিকরা নিজেকে ভাবে মেসি। এই চল চল, আগে, ফট…। আমি এবিষয়ে প্রতিবাদ করি না, ভয়ে। যদি রাত্রিবেলা সিভিক পুলিশ ঘরে ঢুকে যায়।’

https://scontent.fccu20-1.fna.fbcdn.net/v/t15.5256-10/459469254_1053395929822310_9005392774091254234_n.jpg?stp=dst-jpg_s600x600&_nc_cat=1&ccb=1-7&_nc_sid=40d385&_nc_ohc=f-W1uiwdGVoQ7kNvgFYSmBL&_nc_ht=scontent.fccu20-1.fna&edm=AGo2L-IEAAAA&oh=00_AYDWAmCiL0K99IyZwN2r32P1DfJmxXjB6tYBhyWLUpdaAA&oe=66ED85F5

অপূর্বর প্রশ্ন, ‘হাসি পেল? এই ভয়ের জন্য অনেক মানুষ মানসিক ভারসাম্যহীন হয়েছে। এই ভয়ের জন্য অনেক মানুষ গৃহহীন হয়েছে। এই ভয়ের জন্য অনেক মানুষ, নিজের স্বপ্ন, সখ, আল্লাদ, সম্পর্ক, ত্য়াগ করে নিরুদ্দেশ হয়েছে। সবকিছু জেনে ভয় পাইনি বলে ডক্টর ম্যাডামকে নৃশংসভাবে এই পৃথিবীর বুক থেকে বিদায় নিতে হয়েছে। আর ভয় পেয়েছে বলে নির্লজ্জশ্রী আমাদের ট্যাক্সের টাকায় ২১টা আইনজীবী পুষছে। তাই তো প্রত্যেকদিন জনতা ফুঁসছে। এই ভয়ের জন্য অনেকে স্ব-ইচ্ছায় পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছে। ছোট্ট সাজেশন, ভয় বাইরে নেই, আপনার অন্তরে আছে। যে ভয় দেখাচ্ছে, সে ভয় পেয়ে আছে। তাই আপনিও দেখান ভয়। যে বিষয়টার জন্য আপনি ভয় পাচ্ছেন, সে বিষয়টা আপনার গুরুত্বছাড়ামূল্যহীন। তাই ভয়কে নয়, নিজেকে সময় দিন। সময়ের হাত ধরে ভয় তিহার জেলে বন্দি হয়ে যাবে। We Want Justice. জয় হিন্দ। ’

https://www.instagram.com/dr.amrita.bhattacharya/?utm_source=ig_embed&ig_rid=e7fff2f2-5e2d-456f-a22d-f834e9c6c525

আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ হল এবার জাতীয় টিভিতে। ইন্ডিয়াজ বেস্ট ডান্সার ৪ রিয়েলিটি শো-র মঞ্চে নাচের মাধ্যমেই হল প্রতিবাদ। ‘জিতে হে চল’ গানে নৃত্য পিবেশন করেন প্রতিযোগী অর্জুন শাটে ও কোরিওগ্রাফার পঙ্কজ থাপা। দুজনের কেউই বাংলার নন। তবে বাংলায় ঘটে যাওয়া, এই নারকীয় ঘটনা যে ভিতর থেকে ক্ষতবিক্ষত করেছে দুজনকে, তা তাদের নাচেই স্পষ্ট।বিচারকের আসনে ছিলেন টেরেন্স, গীতা ও করিশ্মা কাপুর। তিনজনই বাকরুদ্ধ হয়ে যান সেই নাচ দেখে। শুধু যে ধর্ষণের মতো জঘণ্য় ঘটনার নিন্দা করে, বিচার চাওয়া হয়েছে এই নাচে তা নয়। বরং আর্জি রয়েছে, শুধু ‘বেচি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ বললে হবে না, বরং ছেলেদেরকে ‘পুরুষ’ বানানোর আগে, দেওয়া হোক মনুষত্বের পাঠ। তুমুল ভাইরাল এই ভিডিয়ো ক্লিপিংস। 

মমতার কালীঘাটের বাড়ির সামনেই সংবাদমাধ্যমের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকেই। যার মধ্যে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে দেখা গিয়েছিল এক মহিলা চিকিৎসকে। তাঁকে কান্নায় ভেঙে পড়ে বলতে শোনা গিয়েছিল- ‘আমাদের মুখের উপর দিয়ে ওঁনারা গাড়ি নিয়ে চলে গেলেন। যখন আমরা মিনিটস-টুকু নিয়ে ভিতরে যেতে চাইলাম, ওঁনারা মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিলেন, বললেন যে বাস ডেকে দিচ্ছি, তোমারা চলে যাও… ম্যাডামের রেসপেক্টটা রেখে আমরা সব কিছু মানতে রাজি ছিলাম…।’ তাঁর কান্না দেখে চোখের কোণ ভিজেছে গোটা বাংলার। কে এই আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক? পরিচয় করালেন পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত। পরিচালকের চোখে বাস্তব জীবনের সুপারহিরো তিনি। এই চিকিৎসকের নাম ডাঃ অমৃতা ভট্টাচার্য। বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউড অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের এএনটি বিভাগের জুনিয়র রেসিডেন্ট তিনি।

বিরসা লেখেন, ‘গত রাতে ডাঃ অমৃতা ভট্টাচার্য একজন বাচ্চার মতো ফুঁপিয়ে কেঁদেছেন। কিন্তু তিনি সুপার স্ট্রং, অন্য সকল আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের মতোই। সামনে যাই আসুক না কেন, তাঁরা সুবিচারের দাবিতে এই লড়াই চালিয়ে যাবেন।’ এরপর অমৃতার ভিডিয়ো বার্তা মন দিয়ে শোনার অনুরোধ করেন বিরসা।

অমৃতাকে বলতে শোনা গেল, ‘আমাদের কলিগ, আমাদের দিদির সঙ্গে যে জঘন্য অপরাধ ঘটেছে, তার প্রতিবাদে সুবিচারের দাবিতে আমরা পথে নেমেছি। শুধু আমি একা নয়, আপনারা সকলে এই লড়াইয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। স্বাস্থ্যভবনের সামনের রাস্তায় বসে আমরা শুধুই বিচার চেয়ে চলেছি। আমরা শুধু একটা সহজ অনুরোধ রেখেছিলাম, লাইভ স্ট্রিমিং-এর। কিন্তু একটা নোংরা রাজনীতির খেলা চলছে, যদিও প্রথম দিন থেকে আমরা বলে আসছি আমাদের এই আন্দোলনে কোনও রাজনীতির রং নেই। আমরা শুধুই বিচার চাই। আমরা এখানে আছি, আমরা শুধুই বিচার চাইছি, আপনাদের সমর্থন রয়েছে বলেই আমরা এখানে টিকে থাকতে পেরেছি। চলুন এই লড়াইকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাই, যতক্ষণ না পর্যন্ত বিচার মিলছে। আমরা রাস্তাতেই থাকব, এবং লড়তে থাকব’।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed