February 17, 2025

আন্দোলনকারীরাও মিনিট্‌স লিখবেন, শর্ত মেনে নিল রাজ্য!‌ ‘দু’পক্ষের শুভবুদ্ধির উদয় হোক, শেষ হোক স্নায়ুযুদ্ধ’, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ডাক্তারদের বৈঠক চান নির্যাতিতার বাবা

0
Mamata Doctors

জুনিয়র ডাক্তারদের শর্ত মেনে নিল রাজ্য সরকার। ইমেল করে তা জানালেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সোমবার সকালেই ১১টা ৪৮ মিনিটে মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে বৈঠকের ডাক পেয়েছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা। সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধিদের নিয়ে দুপুর পর্যন্ত বৈঠকের পর আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে এ বার জানিয়ে দেওয়া হল, বৈঠকে তাঁরা যেতে ইচ্ছুক। দুপুর ৩টে ৫৩ মিনিটে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে পাল্টা ইমেল করা হয়। সেখানে জানানো হয়েছে, জনসাধারণের স্বার্থে আজ বৈঠকে যেতে ইচ্ছুক তাঁরা। এ-ও জানানো হয়েছে, স্বচ্ছতার দাবিতে তাঁরা এখনও অনড়। বৈঠকে যেতে রাজি হলেও তিনটি শর্ত সরকারকে দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। আন্দোলনকারীরা ইমেলে বলেছেন, ‘‘টালা থানার ওসি গ্রেফতার হওয়ার ফলে বৈঠকের স্বচ্ছতা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের এক মাত্র দাবি, দু’পক্ষই ভিডিয়ো করুক। সেটা সম্ভব না হলে আমাদের দ্বিতীয় দাবি, সরকার ভিডিয়ো করুক। বৈঠক শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিডিয়ো আমাদের হাতে দিক। সেটাও সম্ভব না হলে তৃতীয় দাবি, দু’পক্ষই বৈঠকের কার্যবিবরণী লিখবে। আমরা কার্য বিবরণী লেখার লোক নিয়ে যাব। সকলে সই করার পর তা আমাদের হাতে তুলে দিতে হবে। পাঁচ দফা দাবি নিয়েই আমরা আলোচনা করতে চাই। আমাদের শর্তে রাজি হলে সরকার অবিলম্বে জবাব দিক। আমরা বৈঠকে হাজির হওয়ার জন্য উদগ্রীব।’’

নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘‘আমরা চাই দু’পক্ষেরই শুভবুদ্ধির উদয় হোক। সরকার এবং ডাক্তারদের মধ্যে এই স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হোক। যারা আন্দোলন করছে, তারা আমার ছেলেমেয়ের মতো। আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে ওরা। আমরা চাইছি, এই সমস্যার কিছু একটা সমাধান বেরিয়ে আসুক। মুখ্যমন্ত্রী স্বচ্ছতার সঙ্গে আলোচনায় বসে সমস্যার সমাধান করুন। ডাক্তারদের দাবিদাওয়া মেনে নেওয়া হোক। আমরা এটাই চাই।’’ এ বার সরকারের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার বা ভিডিয়োগ্রাফি হবে না। লিখিত কার্যবিবরণী দেওয়া হবে, যাতে দু’পক্ষের সই থাকবে।

আরজি কর-কাণ্ডে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। গ্রেফতার করা হয়েছে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। এ প্রসঙ্গে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘‘আমরা প্রথম থেকেই পুলিশকে বার বার বলেছিলাম, এখনই দেহ দাহ করতে চাই না। সংরক্ষণ করতে চাই। কিন্তু পুলিশ আমাদের কথা শোনেনি। আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল। ৩০০ পুলিশের সঙ্গে আমরা বাড়ির দু’-তিন জন লোক কী করে পেরে উঠব? এখন টালা থানার ওসিকে সিবিআই গ্রেফতার করেছে। নিশ্চয়ই তারা কোনও প্রমাণ পেয়েছে, তাই এই গ্রেফতার।’’ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি রয়েছে। নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের উপর আমাদের ১০০ শতাংশ ভরসা আছে। সিবিআইয়ের উপরেও ভরসা আছে। আশা করছি ন্যায়বিচার পাব।’’

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed