‘দুই কালপ্রিট গ্রেফতার, কান টানলে মাথাও আসবে’ ‘এই অপ্রিয় সত্য বেরিয়ে আসার ভয়েই স্বচ্ছতায় অনীহা?’
চিকিৎসকের খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় শনিবার রাতে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সন্দীপ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসি। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ রয়েছে। এই প্রসঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারেরা বলেন, ‘‘আমরা বিচার চেয়ে আসছিলাম, শনিবার গ্রেফতার হয়েছে দুটো কালপ্রিট। কোনও কালপ্রিট ছাড় পাবে না। সব কালপ্রিটকে জেলের ঘানি টানতে হবে।’’ আন্দোলনকারী চিকিৎসক বলেন, ‘‘আমার বোন শান্তি পাচ্ছে একটু হলেও। আরও অনেকের দড়ি বাঁধা রয়েছে। বিচারের দাবিতে আমরা রাজপথে রয়েছি। রাজপথে থাকব।’’
জুনিয়র ডাক্তার বলেন, ‘‘একটা পুরস্কার পেলাম। সেই সন্দীপ ঘোষ ধরা পড়েছে। আমরা বার বার বলেছিলাম, ইনি সেই সন্দীপ ঘোষ, যিনি থ্রেট কালচারের মাথায় ছিলেন, দুর্নীতি করে গিয়েছিলেন। সিবিআই দেখিয়ে দিল।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘আমাদের বোনকে প্রতিষ্ঠান খুন করেছে। একটি ব্যক্তির দ্বারা এটা হতে পারে না। কান এসেছে। কান টানলে মাথাও আসবে।’’ সন্দীপের গ্রেফতারি নিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্টে পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডাক্তার ফ্রন্ট লিখেছে, ‘‘চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি। এই অপ্রিয় সত্য বেরিয়ে আসার ভয়েই কি স্বচ্ছতায় অনীহা?’’ শনিবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে তাঁর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বৈঠক ভেস্তে গিয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি ছিল, বৈঠকের ‘লাইভ স্ট্রিমিং’-এর। তাঁদের বক্তব্য, স্বচ্ছতার কারণেই এই দাবি তুলেছেন তাঁরা। পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডাক্তার ফ্রন্টের পোস্টে সেই প্রসঙ্গই উঠে এসেছে।