বৃষ্টির মধ্যেই ত্রিপল টাঙিয়ে রাস্তায় চিকৎসকেরা, জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্নায় দাবি, “আমাদের একটাই চেয়ার, হাসপাতালের ওপিডির চেয়ার’’

‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান, চেয়ার নয় বিচার চাই সেটা দিয়ে যান’— জুনিয়র ডাক্তারদের স্লোগান। ঘন ঘন বৃষ্টি। ত্রিপলের ব্যবস্থা করা হলেও, বৃষ্টির মধ্যে তা কিছুটা সমস্যার মধ্যেই আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের। কিছু চৌকির ব্যবস্থা। আপাতত বৃষ্টির মধ্যেই ত্রিপলের নীচে অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে জানিয়েছিলেন, তিনি ইস্তফা দিতেও রাজি। কিন্তু বিচার নয়, আসলে ‘চেয়ার’ চাওয়া হচ্ছে। সে প্রসঙ্গে শুক্রবার আন্দোলনকারীরা আবারও বললেন, ‘‘আমরা চেয়ারকে সম্মান করি। পদত্যাগ আমরা চাইনি।” তাঁরা বলেন, “আমাদের একটাই চেয়ার, হাসপাতালের ওপিডির চেয়ার।’’
এদিকে,আরজি কর হাসপাতালে পিজিটি ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে শুরু হওয়া জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন ৫ সপ্তাহ পার করেছে। এরই মাঝে বিনা চিকিৎসায় নাকি ২৯ জন মারা গিয়েছেন বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমত বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই আবহে আরও এক মৃত্যুর ঘটনা সামনে এল। রিপোর্টে দাবি করা হল, আরজি করে ভরতি থাকা বছর ২৪-এর এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত যুবকের নাম নন্দ বিশ্বাস। মৃত নন্দ নদিয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা ছিলেন। নন্দের বাবার অভিযোগ, ছেলে বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছেন।মৃত রোগীর বাবা বলেন, ‘ছেলের প্রেস্কিপশনে স্যালাইনের কথা ছিল। প্রথম দু’বার সেই স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল। তবে মঙ্গলবার থেকে আর কোনও স্যালাইন দেওয়া হয়নি। নার্স বা ডাক্তারও কেউ আসেননি। আমরা বার বার খোঁজ নিয়েছিলাম। ছেলেকে দেখার জন্যে অনুরোধ করেছিলাম।’ এই আবহে আক্রোশের সঙ্গে নন্দের বাবা প্রশ্ন করেন, ‘যাঁরা বিনা চিকিৎসায় আমার ছেলেকে এ ভাবে মেরে ফেললেন, তাঁদের কি বিচার হবে?’ এদিকে নন্দের ভাই নাকি অভিযোগ করেছেন, হাসপাতাল থেকে বলা হয়েছিল দাদাকে বড় নার্সিং হোমে নিয়ে যেতে।