October 7, 2024

সিএবির অনুষ্ঠানে চাঁদের হাট, ভারত যে কোনও দেশকে হারাতে পারে : সৌরভ, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতই ফেভারিট : সামি

0

সিএবির বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে চাঁদের হাট। সৌরভ গাঙ্গুলি থেকে শুরু করে সন্দীপ পাতিল, অজয় জাদেজা, মহম্মদ সামি, ঝুলন গোস্বামী, প্রণব রায়। কে নেই?‌ ২০২৩ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয় মহম্মদ সামিকে। ক্রিকেটে অবদানের জন্য সংবর্ধিত করা হয় অজয় জাদেজাকে।

বাংলায় আরও একটি সম্মান পেয়ে উচ্ছ্বসিত সামি, ‘‌আমার বাংলাকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই। আমি উত্তরপ্রদেশের একটা পরিবারে জন্মাই, যেখানে কোনও সুযোগ ছিল না। উত্তরপ্রদেশে জন্মালেও বাংলায় তৈরি হয়েছি। ২২ বছরের দীর্ঘ যাত্রা। আমি আজ যা হয়েছি, সবটাই বাংলার জন্য। আমি বাংলার ভালবাসা কোনওদিন ভুলব না।’‌ বাংলায় মেয়েদের ক্রিকেটের উন্নতি চান সামি।

দীর্ঘদিন ক্রিকেট ছেড়েছেন। গত বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের কোচ ছিলেন। ক্রিকেটে অবদানের জন্য সংবর্ধিত হয়ে খুশি অজয় জাদেজাও। তিনি বলেন, ‘বাংলা আমাকে এত ভালবাসা এবং সম্মান দেখানোয় আমি উচ্ছ্বসিত। সিএবি আমাকে তাঁদের পরিবারের সদস্য করে নিয়েছে। দাদা প্রায়ই বলত, মন দিয়ে খেল, খোলা মনে খেল। আশা করব দাদার ধারা বাকিরা বজায় রাখবে এবং বাংলা ও দেশকে গর্বিত করবে।’

অনুষ্ঠানের মাঝে একটি টক শোয়ে অংশ নেন মহম্মদ সামি, অজয় জাদেজা এবং সন্দীপ পাতিল। সেখানে ভারতীয় পেসার স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বাংলায় খেলেই জাতীয় দলে ফিরতে চান। সামি বলেন, ‘পরের মরশুমে আমি বাংলার হয়ে খেলতে চাই। রঞ্জিতে দুটো, তিনটে ম্যাচ খেলতে চাই। এটা আমাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে সাহায্য করবে। আমি এনসিএতে ট্রেনিং করছি। ১০০ শতাংশ ফিট হলে তবেই খেলতে চাই।’ নভেম্বরে শুরু হবে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি।

পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ভারতকেই ফেভারিট বাছলেন তারকা পেসার। সামি বলেন, ‘আমার মনে হয় ভারত সিরিজ জিতবে। অস্ট্রেলিয়ায় শেষ সিরিজে অনেক সিনিয়র প্লেয়ার ছিল না। তাসত্ত্বেও প্রমাণ করেছিলাম, আমরাই সেরা। তাই আমার মনে হয় এবারের সিরিজ প্রতিযোগিতামূলক হবে এবং ভারতই জিতবে।’ অতীতের স্মৃতি ভাগ করে নেন সন্দীপ পাতিল এবং অজয় জাদেজা।

জাঁকজমক অনুষ্ঠানে কার্তিক বসু জীবনকৃতি সম্মান তুলে দেওয়া হয় বাংলার দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার প্রণব রায় এবং রুনা বসুকে। বাংলার হয়ে খেলার পাশাপাশি অধিনায়কও ছিলেন প্রণব রায়। এই সম্মান পেয়ে আবেগতাড়িত। প্রণব রায় বলেন, ‘‌আমার কোচ এবং মেন্টরের নামে পুরস্কার পাওয়ার মুহূর্ত আমার কাছে বিশেষ। আমার সব ক্লাবগুলোকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ক্রিকেট প্রশাসক বিশ্বনাথ দত্ত এবং জগমোহন ডালমিয়াকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই।’

মেয়েদের প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে আম্পায়ারিং করার জন্য বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয় বাংলার আম্পায়ার অভিজিৎ ভট্টাচার্যকে। বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পান অনুষ্টুপ মজুমদার। জেন্টেলম্যান ক্রিকেটার অফ দ্য ইয়ার হন অভিষেক পোড়েল। বছরের সেরা ফাস্ট বোলার হন সুরজ সিং জয়েসওয়াল। মেয়েদের (সিনিয়র) টি-২০ তে সর্বোচ্চ রানের পুরস্কার পান দীপ্তি শর্মা। মেয়েদের (সিনিয়র) একদিনের টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির পুরস্কার পান মিতা পাল। মেয়েদের (সিনিয়র) টি-২০ তে সর্বোচ্চ উইকেটে নেওয়ায় পুরস্কার পান সাইকা ইশাক। এছাড়াও তিতাস সাধুদের পুরস্কৃত করা হয়।

সিএবির বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ধনধান্য স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। এবার বাংলার ক্রিকেট সংস্থার উদ্যোগে শুরু হয়েছে বেঙ্গল প্রো টি-২০ লিগ। তাই এই বছরটিকে বিশেষ বললেন সিএবি সভাপতি। স্নেহাশিস গাঙ্গুলি বলেন, ‘এই বছরটা বিশেষ ছিল। কারণ আমরা দুটো নতুন টুর্নামেন্ট চালু করেছি। পাঁচটা বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন করেছি। বেঙ্গল প্রো টি-২০ লিগ চালু হয়েছে। মেয়েদের জন্য নতুন দুটো টুর্নামেন্ট চালু হয়েছে। প্রতিভা প্রদর্শনের মঞ্চ পাবে বাংলার উঠতি ক্রিকেটাররা।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিএবির সহ সভাপতি অমলেন্দু বিশ্বাস, সচিব নরেশ ওঝা, যুগ্মসচিব দেবব্রত দাস, কোষাধ্যক্ষ প্রবীর চক্রবর্তী প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন সিএবির প্রাক্তন সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া ও কিংবদন্তি মহিলা ক্রিকেটার ঝুলন গোস্বামীও।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed