ব্যর্থ গণধর্ষণের ভয়ঙ্কর চেষ্টা, ডাক্তারের গোপনাঙ্গ কেটে দিলেন নার্স!
ব্লেড দিয়ে ডাক্তারের গোপনাঙ্গ কেটে দিলেন নার্স। তার জোরেই বেঁচে গেলেন নার্স। ব্যর্থ করে দিলেন গণধর্ষণের চেষ্টা। কলকাতার আরজি কর কাণ্ড যখন দেশব্যাপী ক্ষোভ ও প্রতিবাদের জন্ম। আরও এক ন্যক্কারজনক ঘটনা বিহারের এক বেসরকারি হাসপাতালে। অভিযুক্ত চিকিৎসক ওই বেসরকারি হাসপাতালে প্রশাসনিক পদেও রয়েছেন। ঘটনাটি বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর রাতে, সমস্তিপুর জেলার মুসরিঘরারারি থানা এলাকায়। গঙ্গাপুরের আরবিএস হেলথ কেয়ার সেন্টারে নির্যাতিতা নার্স। সেই দিনের কাজ শেষে নার্সের উপর চড়াও হয় হাসপাতালের অন্যতম প্রশাসক, ডা. সঞ্জয় কুমার এবং তার দুই সহযোগী। তিনজনই মত্ত অবস্থায় ছিল বলে অভিযোগ। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, ওই অবস্থায় তারা তাঁকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে।
ডা. সঞ্জয় কুমার এবং সঙ্গীদের কবল থেকে নিজেকে মুক্ত করার মরিয়া চেষ্টায়, অভিযুক্ত চিকিৎসকের যৌনাঙ্গে ব্লেড দিয়ে আঘাত করেন আক্রান্ত নার্স। এরপর প্রাণভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে তিনি হাসপাতালের বাইরে একটি মাঠে আত্মগোপন করেন। সেখানে লুকিয়ে থেকে তিনি পুলিশকে ফোন করেছিলেন। পুলিশের ডেপুটি সুপার, সঞ্জয় কুমার পান্ডে জানিয়েছেন, নার্সের ফোন পেয়েই পুলিশের একটি দল হাসপাতালে যায়। আক্রান্ত নার্সের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেন। অভিযুক্ত ডাক্তার-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। ডা. সঞ্জয় কুমার ছাড়া অপর দুই অভিযুক্ত হলেন সুনীল কুমার গুপ্তা ও অবধেশ কুমার।
পুলিশ জানিয়েছে, নার্সকে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করার আগে অভিযুক্তরা হাসপাতালের দরজাগুলিতে ভিতর থেকে তালা দিয়ে দিয়েছিল। সেইসঙ্গে হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরাগুলিও বন্ধ করে দিয়েছিল। পুলিশের ডেপুটি সুপার বলেছেন, “আক্রান্ত নার্স যে সাহস এবং মনের জোরের পরিচয় দিয়েছেন, তার কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।” ঘটনাস্থ থেকে পুলিশ আধ বোতল মদ, নার্সের ব্যবহার করা ব্লেড, রক্তমাখা কাপড় ও তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, নার্সের উপর চড়াও হওয়ার আগে, তারা মদ্যপান করেছিল। বিহারে মদ নিষিদ্ধ। কাজেই যৌন হেনস্থার অভিযোগের পাশাপাশি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মদ নিষেধের আইনেও অভিযোগ আনা হবে।