October 12, 2024

দুর্বৃত্তরা বুঝেই গেছেন মেয়েদের সঙ্গে ‘‌অসভ্যতা’‌ করলেও রেহাই?‌ আরজিকর কাণ্ডের বিচার নেই, জেনেই বেড়েছে শ্লীলতাহানি, ধর্ষন

0

আরজি কর কাণ্ড নিয়ে গোটা দেশে প্রতিবাদের আবহের মধ্যেই কলকাতায় চলন্ত বাসে শ্লীলতাহানির শিকার এক তরুণী। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনায় পূর্ব কলকাতার রুবি মোড়ে উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযুক্তকে গণপ্রহার করেন অন্যান্য বাসযাত্রীরা। এর পর তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। আক্রান্ত মহিলার ভাই জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ রুবি মোড় থেকে ফুলবাগানে যাওয়ার জন্য বাসে ওঠেন তাঁর দিদি। বাসে এক ব্যক্তি তাঁকে অশালীনভাবে স্পর্শ করতে শুরু করে। মহিলা চিৎকার করে প্রতিবাদ করলে অভিযুক্ত বাস থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। তখন বাসের অন্যান্য যাত্রীরা তাকে ধরে ফেলেন। এর পর শুরু হয় গণধোলাই। ঘটনা দেখে এগিয়ে আসেন সেখনে থাকা পুলিশকর্মীরা। অভিযুক্তকে আটক করেন তাঁরা। এর পর তাকে কসবা থানায় নিয়ে যান। সেখানে পৌঁছন আক্রান্ত মহিলাও কসবা থানায় শ্লীলতাহানির লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তরুণীর ভাই জানিয়েছেন, ঘটনার জেরে আতঙ্কিত তাঁর দিদি ও পরিবার। দিনে দুপুরে জনবহুল স্থানে মহিলারা নির্যাতনের শিকার হলে তাঁদের নিরাপত্তা কোথায়? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এই ঘটনায় দোষী ব্যক্তির কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন।

এক কলেজ ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় রাতভর ব্যপক উত্তেজনা ছড়াল বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় থানা এলাকায়। গতকাল বিকালে স্থানীয় এক গৃহবধূর সঙ্গে গ্রাম লাগোয়া রাস্তায় হাঁটতে বেরোলে বাইক আরোহী তিন যুবক ওই কলেজ ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয় গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে ছুটে এলে বাইক ফেলে চম্পট দেয় দুস্কৃতিরা। পরে দুস্কৃতিদের দুই সঙ্গী গ্রামে বাইক আনতে গেলে তাদের আটকে রাখে গ্রামবাসীরা। পরে খবর পেয়ে বেলিয়াতোড় থানার পুলিশ গ্রামে গেলে পুলিশকে ঘেরাও করেও দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের অভিযোদ, দুষ্কৃতীদের সঙ্গে যোগ রয়েছে পুলিশের।
সোমবার বিকালে স্থানীয় এক গৃহবধূর সঙ্গে গ্রাম লাগোয়া রাস্তায় হাঁটতে বেরিয়েছিলেন এক কলেজ ছাত্রী। গ্রাম থেকে বেশ কিছুটা দূরে হাঁটাহাঁটি করার সময় ফাঁকা রাস্তায় আচমকাই একটি বাইকে চড়ে তিন যুবক তাঁদের কাছে যায়। বাইক থামিয়ে ওই তিন যুবক কলেজ ছাত্রীর কাছে ফোন নম্বর জানতে চায়। কলেজ ছাত্রীটি ফোন নম্বর দিতে না চাওয়ায় ওই তিন যুবক কলেজ ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। এই সময় কলেজ ছাত্রী ও সঙ্গে থাকা গৃহবধূর চিৎকারে স্থানীয় গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে ছুটে এলে দুস্কৃতীরা নিজেদের বাইক ফেলে ছুটে পালিয়ে যায়। গ্রামবাসীরা বাইকটি উদ্ধার করে গ্রামে নিয়ে যায়।

কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভ্রাতৃবধূকে মারধরের অভিযোগ এক হোমগার্ডের বিরুদ্ধে। ঘটনা মালদার মানিকচকের। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত হোমগার্ড। আক্রান্ত বধূর স্বামীর দাবি, এর আগেও স্ত্রীকে মারধর করেছেন দাদা। কিন্তু পুলিশ অভিযোগ নেয়নি। অভিযুক্ত হোমগার্ড সামসি ফাঁড়িতে কর্মরত। নির্যাতিতার স্বামী পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। স্বামী বাড়িতে না থাকলেই ভ্রাতৃবধূকে ওই হোমগার্ড কুপ্রস্তাব দিতেন বলে অভিযোগ। গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে দরজা ভেঙে বধূর ঘরে ঢুকে তাঁকে কুপ্রস্তাব দেন তিনি। বধূ তাতে রাজি না হলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। ঘরেও ভাঙচুর চালান। বধূর চিৎকারে স্থানীয়রা চলে এসে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালায় অভিযুক্ত। খবর পেয়ে ভিনরাজ্য থেকে বাড়ি ফেরেন বধূর স্বামী। তিনি বলেন, আমার দাদার স্বভাব খারাপ। আমার বউকে ও বার বার ধর্ষণের চেষ্টা করে। এর আগেও ও এই কাজ করেছে। আমার স্ত্রীকে ও মারধর করেছে। মাটিতে ফেলে পেটে লাথি মেরেছে। গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে আমার স্ত্রীকে ও বেধড়ক মারধর করেছে। আমার ঘরে ভাঙচুর করেছে। তার পর ঘরে থাকা ২০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়েছে। আমি মানিকচক থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ও হোমগার্ড বলে পুলিশ অভিযোগ নেয়নি।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed