‘আমার মেয়েটাকে যেভাবে গলা টিপে মেরেছে’, ‘আন্দোলনকে ঠিক সেভাবে মারতে চাইছেন দিদি’
‘আমার মেয়েটাকে যেভাবে গলা টিপে মেরেছে, আন্দোলনকে ঠিক সেভাবে মারতে চাইছেন দিদি’। নির্যাতিতার মা বলেন, ‘আমার মেয়াটাকে যেমন গলা টিপে ওখানে মারা হয়েছে। সব প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে। এখন আন্দোলনের গলা টিপে মারতে চেয়েছেন দিদি। পুলিশ প্রশাসন, হাসপাতাল সবাই মিলে আন্দোলনটাকে গলা টিপে মারার চেষ্টা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর উৎসবে ফেরার আহ্বানকে আন্দোলনকে গলা টিপে হত্যা করার চেষ্টা বলে মনে করছেন আরজি কর মেডিক্যালে নিহত তরুণী চিকিৎসকের মা। সোমবার সোদপুরে নিজের বাড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, আন্দোলন থামলে মুখ্যমন্ত্রী আবার নিজের জায়গায় ফিরতে পারবেন। তাঁর দাবি, বাবা – মা হিসাবে আমরা আন্দোলন থেকে সরব না।
নির্যাতিতার মা বলেন, ‘দেশের মানুষ যদি ভাবে উৎসবে ফিরবে তাহলে ফিরবে। কিন্তু দেশের মানুষ তো আমার মেয়েটাকে নিজের মেয়ে ভাবছে। তারা যদি পারে ফিরতে আমার কিছু বলার নেই। আমার ঘরেও দুর্গাপুজো হত। আমার মেয়ে নিজে করত। আমার ঘরে তো আর কোনও দিন দুর্গাপুজোর আলো জ্বলবে না। আমার ঘরের প্রদীপ নিভে গেছে। আমি কী করে মানুষকে বলব উৎসবে ফিরতে বলুন? এক মাস হয়ে গেছে। যদি মুখ্যমন্ত্রীর ফ্যামিলিতে এরকম ঘটত উনি কি পারতেন এটা বলতে? আমার মেয়াটাকে যেমন গলা টিপে ওখানে মারা হয়েছে। সব প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে। এখন আন্দোলনের গলা টিপে মারতে চেয়েছেন দিদি। পুলিশ প্রশাসন, হাসপাতাল সবাই মিলে আন্দোলনটাকে গলা টিপে মারার চেষ্টা হয়েছে। আন্দোলনটা থেমে গেলে মুখ্যমন্ত্রী আবার নিজের জায়গা ফিরে পাবেন সেই আশায়। আমরা পথে নেমেছি, আর পথেই থাকব যত দিন না বিচার পাব। মানুষের আন্দোলনকে উনি প্রতিহত করার চেষ্টা করতে পারেন, কিন্তু আমাদের আন্দোলনকে পারবেন না। আমরা আন্দোলন চালিয়েই যাব। মুখ্যমন্ত্রী উৎসবে ফেরার আহ্বানকে আমার অমানবিক মনে হচ্ছে।’ সোমবার নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘একমাস তো হয়ে গেল.. ৩১ শে মাস. একমাস একদিন.. আমি অনুরোধ করব, পুজোয় ফিরে আসুন, উৎসবে ফিরে আসুন।’