October 5, 2024

আন্দোলনকে ভয় পাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, পাল্টা হুঁশিয়ারিও?‌ ‘‌এ বার পুজোয় ফিরুন’, মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি নিয়ে নতুন ক্ষোভের জন্ম!‌

0

‘‌আমার বাড়িতে তো আর পুজোর আলো জ্বলবে না’‌, মমতার ‘উৎসবে ফেরা’-র ডাক শুনে বললেন মা। ‘আমার নিজের বাড়িতে তো দুর্গাপুজো করা হত। নিজে করত মেয়ে। আমার বাড়িতে আর কোনওদিন তো দুর্গাপুজোর আলো জ্বলে উঠবে না।’ সেইসঙ্গে তরুণী চিকিৎসকের মা জানান, তাঁর বাড়ির প্রদীপের আলো চিরকালের মতো নিভে গিয়েছে। সেই অভিশপ্ত দিনটার পরে এক মাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও বিচার না মেলায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন তরুণী চিকিৎসকের মা। ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে কী মনে করেন? গোটা রাজ্যের মানুষ কি ওঁর দলের চাকরবাকর নাকি! উনি ঠিক করে দেবেন মানুষ কখন আন্দোলন শেষ করবে?’’ সেখানেই না থেমে সুকান্তের আরও বক্তব্য, ‘‘গোটা বাংলা ভারাক্রান্ত। জীবনে কখনও যে মা মিছিলে হাঁটেননি, তিনিও পথে। নির্যাতিতাকে সকলে কন্যা, মা, সহোদরা মনে করে আন্দোলনে নেমেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর উচিত সমব্যথী হয়ে রাজ্যের মানুষকে সমবেদনা জানানোর। তা না করে আন্দোলনকে ভয় পেয়ে তিনি মানুষকে পুজোর আনন্দে মাততে বলছেন! এটা নিন্দনীয়।’’ তির্যক অভিযোগ ও ক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বান, ‘‘এক মাস তো হয়ে গেল। আমি অনুরোধ করব, পুজোয় ফিরে আসুন, উৎসবে ফিরে আসুন।’’ কতটা নির্দয়। কতটা অমানবিক। কতটা নৃশংস হলে এরকম মন্তব্য করা যায় বলে অভিযোগ জনসাধারনের। সুপ্রিম কোর্ট সাধারণ আন্দোলনকারীদের কোনও নির্দেশ না দিলেও জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে যোগ দিতে বলেন মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই। দিনের পর দিন জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন ও কর্মবিরতির ফলে রাজ্য যে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে সমস্যায়, তা সুপ্রিম কোর্টেও সোমবার জানায় রাজ্য। এর পরেই প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ কর্মবিরতি শেষ করতে বলে। শাসক শিবির ‘স্বস্তি’ দেখছে। মুখ্যমন্ত্রীও সোমবার ‘দৃঢ়’ অবস্থান নিয়েছেন বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহল। যে সব পুজো কমিটি রাজ্যের দেওয়া ‘দুর্গা ভান্ডার’ নেবে না বলে জানিয়েছে, তাদের গুরুত্ব না দেওয়ার বার্তাও দিয়েছেন।

আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ মমতার প্রচ্ছন্ন হুমকি, এত দিন ধরে আন্দোলনকে ‘মেনে নিয়েছেন’। আর তিনি ছাড়বেন না।‘‘প্রতি দিন রাতে আপনারা যদি রাস্তায় থাকেন, অনেক মানুষের তো সমস্যা হয়। অনেক এলাকায় অনেক বয়স্ক মানুষ আছেন। আলো লাগলে তাঁদের ঘুমের সমস্যা হয়। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নিয়মও রয়েছে রাত ১০টার পরে মাইক বাজানো নিয়ে। তা সত্ত্বেও তো আমরা সব ছেড়ে দিয়েছি।’’ রাত দখলের ডাক দেওয়া রিমঝিম সিংহ বলেন, ‘‘জনসাধারণ এখন মহোৎসবেই রয়েছেন। কারণ, আন্দোলনকেই তাঁরা মহোৎসব বলে মনে করছেন। তাঁরাই তো ঠিক করবেন কোনটা উৎসব। এই আন্দোলন তো এই একটি ঘটনার জন্য নয়। ভবিষ্যতেও যাতে এমন না ঘটে, সেই দাবিতেই মানুষ পথে নেমেছেন। আন্দোলন থেকে যে সব দাবি উঠেছে, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্য প্রসাশন কোনও পদক্ষেপ করেনি। তাই মানুষই ঠিক করবেন, কোন উৎসবকে বেছে নেবেন তাঁরা।’’ মুখ্যমন্ত্রীর কথায় স্বৈরাচারীর স্বর। দাবি সাধারনের।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed