‘দিদির’ বিচার চাইছে খুদেরা! চেনা দাবি, অচেনা লড়াই!ভাবনার স্রোত এক মোহনায়, লিখছে নাগরিক আন্দোলনের নয়া ইস্তাহার
গান, স্লোগান, ছবি, কবিতার আঙ্গিকে প্রতিবাদ। স্লোগানে আরজি করের নির্যাতিতার জন্য বিচারের দাবি। জড়িয়ে রাজনৈতিক স্পর্শও। পোস্টারগুলিতে ডিজিটাল সৃজনশীলতাও নজর কাড়া। পেশাদার হাতের ছোঁয়া। ‘আগুন দেখা’ কলমে-কণ্ঠে মিলেমিশে একাকার পোস্টারের রং আর চিৎকারের সুর। প্রায় নীরবে, নিভৃতে সাক্ষী এক নতুন সময়, যেখানে জানলার গরাদ ভেঙে হাজারে হাজারে মানুষ পথে। থরে থরে পোস্টার। চিৎকার সমাজমাধ্যমের জানলা খুললেই। লেখা থাকছে বিভিন্ন আঙ্গিকের কর্মসূচি। কোনও দল নেই, নেতা নেই। রয়েছে ভাবনার স্রোত। নানান স্রোতের মোহনায় জন্ম নিচ্ছে নতুন নতুন স্লোগান। স্লোগানই হয়ে উঠছে আন্দোলনের নয়া ইস্তাহার। এ ভাবেই, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে নাগরিক আন্দোলন প্রতিদিন নতুন নতুন মোড় নিচ্ছে, নতুন নতুন মাইলফলক তৈরি করছে। দেওয়ালের বদলে ‘ক্যানভাস’ হচ্ছে রাস্তা। আঁকা হচ্ছে ছবি।
রাস্তায় ছবি আঁকা হবে। সেই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘রাজপথই ক্যানভাস’। সেই কর্মসূচির স্লোগান, ‘মুছবি যত, আঁকব তত’। কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীদের স্লোগান ‘কুমোরটুলি দিচ্ছে হাঁক, আমার দুর্গা বিচার পাক’। মিছিলের পোস্টারে শিরোনাম, ‘উত্তর উত্তর চায়’। স্লোগান ‘জনতার মতামত, রাজপথে আদালত’। ই-পোস্টারে লেখা হয়েছে ‘টলিপাড়া জানতে চায়, তিলোত্তমার খুনি কোথায়?’ সোমবার বিভিন্ন জায়গায় রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত গণঅবস্থানের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সেই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘নয় নয় নয়’। সেপ্টেম্বরের ৯ তারিখ রাত ৯টা থেকে ন’মিনিট নিঃশব্দ থাকার ডাক দেওয়া হয়েছে নাগরিকদের একাংশের পক্ষ থেকে। ছড়িয়ে দেওয়া ই-পোস্টারের স্লোগান ‘কোনও শব্দ নয়, স্তব্ধ থাক রাজ্য’।
রাস্তায় মানববন্ধন। সব বয়সের মানুষ তাতে যোগ দিয়েছেন। ‘দিদির’ জন্য বিচার চাইতে বাবা-মা’র সঙ্গে এসেছে খুদেরাও। অনেকের হাতে জাতীয় পতাকাও আছে। সকলের একটাই দাবি, ‘জাস্টিস ফর আরজি কর।’
‘আমাদের ঘরের মেয়ে এখনও বিচার পায়নি। যতদিন না বিচার পাচ্ছি আমরা, ততদিন লড়াই চলবে।’