“পাপের ঘড়া উল্টোয়” অভিনেত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে পরিচালক অরিন্দম শীলকে সাসপেন্ড
নারী নিগ্রহের অভিযোগ। পরিচালক অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে। বাংলা বিনোদন দুনিয়ার এক অভিনেত্রী পরিচালকের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ এনে মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হন। পদক্ষেপ ‘ডিরেক্টর্স গিল্ড’এর। সাসপেন্ড করা হল পরিচালককে। ই-মেল মারফত অরিন্দম শীলকে এই সংক্রান্ত নোটিস। গিল্ডে পরিচালকের সদস্য পদ সংখ্যা ১৯৩। বিভিন্ন সময় একাধিক অভিনেত্রীর অরিন্দমের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ। প্রতিবারই পরিচালক তাঁদের অভিযোগ মিথ্যা বলেই দাবি করেন। ‘ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’র পক্ষ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিচালক সাসপেন্ড। কারণ, পরিচালকের বিরুদ্ধে প্রাথমিক প্রমাণ অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
স্বস্তিকা লেখেন, ‘‘পাপের ঘড়া উল্টোয়। ভেবেছিলাম বোধহয় নিজের জীবনে দেখে যেতে পারব না। ভগবান তুমি এই কথাটুকু যে রেখেছ, এই অনেক। ২০ বছর সময় লাগল, সে লাগুক। আমাদের জগতের সমস্ত মেয়েদের বলছি। সময় এসেছে, সম্মান দখল করার। আর ভয় নয়। গলা তুলে, আঙুল তুলে চিৎকার করে নোংরা লোকগুলোর মুখোশ টেনে ছিঁড়তে হবে। সবাই বেরিয়ে এসো। হাত ধরে একসঙ্গে সরব হই। এটা আমাদের ন্যায্য অধিকার।’’ অরিন্দম শীলের লেখা চিঠি পোস্ট করেছেন স্বস্তিকা। পরিচালকের হাতে লেখা, ‘‘মহিলা কমিশনের কাছে শিল্পী (নাম উহ্য) এর আমার সম্পর্ক করা অভিযোগ সম্পর্কে অন্তর থেকে দুঃখিত। আমি আমার ভুল স্বীকার করে আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। তাঁর মানসিক ও পারিবারিক যন্ত্রণার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।’’
অরিন্দমের কথায়, “আমাকে বলা হয়ছে, শট বোঝাতে গিয়ে আমি অভিনেত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছি। কিন্তু, সেই সময়ে চিত্রগ্রাহক থেকে শুরু করে সেটের বাকি সকলে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। অভিনেতা সাহেব চট্টোপাধ্যায়ও ছিলেন। আমাকে চিঠি থেকে অনিচ্ছাকৃত শব্দটি বাদ দিতে বলা হয়েছিল। আমার সহকারী পরিচালক ও ফোটোগ্রাফার এবং সুরিন্দর ফিল্মসের সদস্যরা সাক্ষী হিসেবে আছেন। কিন্ত ডিরেক্টর্স গিল্ড আমার সঙ্গে কথা না বলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”