‘দাদাগিরি’, ‘থ্রেট কালচার’ লাগাতার বিতর্ক আর অভিযোগের চাপ! বিরূপাক্ষ-অভীক ও মুস্তাফিজুরকে সাসপেন্ড রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের
বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, অভীক দে এবং মুস্তাফিজুর রহমান মল্লিকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের। সাসপেন্ড করা হল তাঁদের। ওই তিনজনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কোনও নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সাসপেনশন জারি। সন্দীপ ‘ঘনিষ্ঠ’ চিকিৎসক বর্ধমান মেডিক্যালের প্যাথোলজি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস ও প্রাক্তন আরএমও অভীক দে-কে সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করেছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। আপাতত কাউন্সিলের কোনও মিটিংয়ে থাকতে পারবেন না তাঁরা। শোকজ নোটিস আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। তিন দিনের মধ্যে কারণ না দেখালে বাতিল হতে পারে তাঁর রেজিস্ট্রেশনও! সাসপেন্ড মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসক মুস্তাফিজুর রহমান মল্লিকও। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক বিরূপাক্ষ মেডিক্যাল কাউন্সিলের পিনাল এবং এথিক্স কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। একই কমিটির সদস্য মুস্তাফিজুরও।
‘দাদাগিরি’, ‘থ্রেট কালচার’ লাগাতার বিতর্ক আর অভিযোগের চাপ! মেডিক্যাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়ের উপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন অন্যান্য চিকিৎসকেরা। বাধ্য হয়েই কাউন্সিলের কোড অফ কন্ডাক্টের ২৫(২) এবং ৩৭/(iii) ধারা মেনে সন্দীপের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করলেন তাঁরা। সাসপেন্ড করা হল ‘সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ’ তিন চিকিৎসককেও। বিরূপাক্ষ এবং অভীকের বিরুদ্ধে মেডিক্যাল কলেজে ‘দাদাগিরি’র অভিযোগ ছিল। পাশাপাশি, আরজি কর-কাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে এসএসকেএমের চিকিৎসক-পড়ুয়া অভীক দের উপস্থিতি নিয়েও উঠেছিল একাধিক অভিযোগে সাসপেন্ড করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।