গলায় স্টেথোস্কোপ, হাতে মেরুদণ্ডও, লেখা ‘নট ফর সেল’!ভালো ছেলে সন্দীপ ঘোষের মুখে শেক্সপিয়রের কথা- নামে কী আসে-যায়!
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের স্ত্রীরোগ এবং প্রসূতি বিভাগের জুনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার সন্দীপ ঘোষ। বিড়ম্বনার শিকার। মুর্শিদাবাদের সন্দীপের মুখে শেক্সপিয়রের কথা, ‘‘নামে কী আসে-যায়!’’ ২০১৭ সালে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। কান্দির গ্রাম সাবলপুরের সন্দীপ। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজেই একসময়ে অস্থিরোগ বিভাগের প্রধান ছিলেন আপাতত সিবিআই হেফাজতে থাকা সকলের চোখে মূল অপরাধী সন্দীপ ঘোষ। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ থেকেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল হয়েছিলেন।
মুর্শিদাবাদের অন্য সন্দীপ। বিড়ম্বনার শিকার? সন্দীপ তাইকোন্ড খেলেন। দু’বারের রাজ্য চ্যাম্পিয়ন। যৌথ পরিবার। তিনি বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। এ ছাড়া বাড়িতে রয়েছেন সন্দীপের ঠাকুমা, কাকা-কাকিমা এবং দুই খুড়তুতো ভাই-বোন। বাবা গ্রামে একটি ছোট ওষুধের দোকান চালান। ফেসবুকের নামের পাশে ডাক্তার সন্দীপ ঘোষের পাশে বন্ধনী দিয়ে ইংরেজিতে লিখতে বাধ্যে হন, ‘নট দ্য প্রিন্সিপাল’। সন্দীপ বলেন ‘‘আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে অনেকের মতো আমিও ফেসবুকের ডিপি থেকে নিজের ছবি সরিয়ে ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’ লেখা পোস্টার দিয়েছিলাম। তার নীচে এসে অনেকেই আমায় ওই সন্দীপ ঘোষ ভেবে নানাবিধ কটু কথা বলে গিয়েছেন। মেসেজেও নানান মন্তব্য করেছেন।’’
মুর্শিদাবাদের সন্দীপে গলায় স্টেথোস্কোপের পাশাপাশি হাতে মেরুদণ্ডও। লেখা ‘নট ফর সেল’। আপাতত সেটিই এখন তাঁর ফেসবুকের ডিপি। বিড়ম্বনার জন্য আক্ষেপ? মুর্শিদাবাদের সন্দীপের জবাব, ‘‘উনি (আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ) একটা কলঙ্ক। তার জন্য আমার নিজের নাম নিয়ে মোটেই আমার আক্ষেপ নেই। আমার নাম আমার বাবা-মা রেখেছিলেন। আমি কাজ দিয়ে তা প্রমাণ করব। মেরুদণ্ড কখনও কারও কাছে বন্ধক দেব না।’’