October 3, 2024

‘বিচার পেতে আলোর পথে’ প্রতিবাদ মিছিলে সারা বাংলা এখন একটাই পরিবার!

0

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল কাণ্ড। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জাস্টিস চেয়ে প্রতিবাদ। আসানসোল, পুরুলিয়া, হাওড়া, মুর্শিদাবাদ, সিউড়ি-সহ রাজ্যের সর্বত্র মানুষ প্রতিবাদে শামিল। আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে পথে নেমে মানববন্ধন তৈরি। আসানসোল জিটি রোডের উপর দাঁড়িয়ে হাতে হাত প্রতিবাদ। ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’ স্লোগান। মোবাইলের টর্চ জ্বালিয়ে প্রতিবাদের ভাষা, ‘যতদিন বিচার পাব না, ততদিন রাস্তায় নামব, সব কাজ বন্ধ হয়ে যাক আমাদের।’ ‘বিচার পেতে আলোর পথে’- তরুণী চিকিৎসকের বিচার চেয়ে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে প্রতিবাদ। আলো নিভিয়ে মোমবাতি এবং প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। পুরো পশ্চিমবঙ্গ যেন একটাই পরিবার!

মোমবাতি হাতে রাত দখলের লড়াইয়ে পথে সত্তরোর্ধ পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী! মিশে গেলেন আম জনতার ভিড়ে। আলো নিভিয়ে মোমবাতি হাতে পথে জনতা। এই অন্ধকার হতাশরা নয়, বরং এই অন্ধকার প্রতিবাদের-প্রতিরোধের। আট থেকে আশি সকলেই এই লড়াইয়ে সামিল। হাজারো কন্যাকে তিনি নিজের হাতে গড়ে তুলেছেন। আরজি করের ওই চিকিৎসক তরুণীর যন্ত্রণার কথা চিন্তা করেছে ঢুকরে কেঁদেছে মন। এদিন মোমবাতি হাতে ‘জাস্টিস অফ আর জি কর’ স্লোগান তুলে পথে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী। নতুন আশার আলোর খোঁজে এদিন গোটা শহরকে অন্ধকারে ঢাকল কলকাতাবাসী। ‘জাস্টিস ফর আর জি কর’ স্লোগানে মিলে মিশে একাকার কল্লোলিনী তিলোত্তমা! মাস কয়েক আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পণ্ডিতজি, কিন্তু শারীরিক ঝক্কির কথা দু-বার না ভেবে এদিন প্রতিবাদে সোচ্চার তাঁর কণ্ঠ। ছেলে অঞ্জনের সঙ্গে এদিন প্রতিবাদ ব়্যালিতে অংশ নেন তিনি। আজ জনতার সঙ্গে অবলীলায় মিশে গেলেন পণ্ডিতজি। পা মেলালেন, সুর চড়ালেন- ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস…’।

কলকাতা পুলিশের একের পর এক অভিযোগ তুললেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের বাবা। ঘরে তখন তাঁর মেয়ের দেহ রাখা আছে। যে মেয়েটাকে নিয়ে একরাশ স্বপ্ন ছিল, যে মেয়েটা পরিবারের আলো ছিল, তাঁর নিথর দেহটা চোখের সামনে শায়িত ছিল। সেদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেও ভাবেননি যে মেয়েটা এভাবে বাড়ি ফিরবে। অথচ সেইসময় একটা কোণায় নিয়ে গিয়ে কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (নর্থ) টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে দাবি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের বাবা। আর সেটার যোগ্য জবাবও দিয়েছিলেন বলে জানালেন বাবা। কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আরও একবার মিথ্যাচারের অভিযোগ তুলে তরুণী চিকিৎসকের বাবা বলেন, ‘বারবার সাংবাদিক বৈঠক করে মিথ্যা কথা বলছেন। মিথ্যাচার করছেন। কারণটা কী? কী কারণে তাঁরা এরকম করছেন? তা নিয়ে আমাদের মনে সবসময় প্রশ্ন আসছে। আমার এসব প্রশ্নের উত্তর কে দেবে? পুলিশ? প্রশাসন? নাকি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ?’

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed