যোগীরাজ্যে কলকাতা ডার্বি জিতল সবুজ-মেরুন,লখনউয়ে ‘চিফ মিনিস্টার্স কাপ’-এটাইব্রেকারে মোহনবাগান হারাল ইস্টবেঙ্গলকে
মোহনবাগান ১ (সুহেল)
ইস্টবেঙ্গল ১ (আশিক)
(টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে জয়ী মোহনবাগান)
ডুরান্ড কাপের ফাইনালে সিনিয়র দলের হার। এরপরই জিতল মোহনবাগানের জুনিয়র দল। লখনউয়ে ‘চিফ মিনিস্টার্স কাপ’-এ ইস্টবেঙ্গলকে টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে হারিয়ে দিল মোহন ছোটোরা। নির্ধারিত সময়ে খেলার ফল ছিল ১-১। টাইব্রেকারে ইস্টবেঙ্গলের আদিত্য পাত্রের দু’টি সেভ। ইস্টবেঙ্গলের দুই ফুটবলার বাইরে মারলেন। একজনের শট বাঁচিয়ে দিলেন মোহনবাগানের গোলকিপার। কেডি সিংহ স্টেডিয়ামে নতুন ফ্লাডলাইট বসানোর পর কলকাতা ডার্বি আয়োজন করা হলেও মাঠের অবস্থা ছিল খুবই খারাপ। ঘাস কম ছিল। কিছু জায়গায় ঘাসও বেশ বড় বড় ছিল।
ডুরান্ড কাপের ফাইনালে নর্থইস্টের কাছে হেরে ট্রফি জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয়। জুনিয়র দলের গোলকিপার মাত্র একটি সেভ করেন। ইস্টবেঙ্গলের তন্ময় এবং বিষ্ণু বাইরে বল মারায় মোহনবাগানের কাজ সহজ হয়ে যায়।
ফুটবলারেরা খুব গা লাগিয়ে খেলেননি। দুই প্রধানেরই বেশ কিছু ফুটবলার আইএসএলে খেলবেন। ইস্টবেঙ্গলের সামনে কলকাতা লিগের সুপার সিক্সের খেলাও রয়েছে। অহেতুক ঝুঁকি নিয়ে চোট পেতে চাননি।
১৮ মিনিটে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। বক্সের বেশ খানিকটা দূরে ফ্রিকিক পেয়েছিল মোহনবাগান। সেখান থেকে সালাউদ্দিনের ভাসানো বলে চকিতে এগিয়ে এসে গোল করে সুহেল ভাট কর্নার ফ্ল্যাগের সামনে গিয়ে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর মতো উচ্ছ্বাস। সুহেলের একটি পেনাল্টি আবেদন নাকচ হয়। মোহনবাগান আগ্রাসী খেলতে শুরু করলেও ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ জমাট ছিল। তবে দু’দলের ফুটবলারদের মধ্যে কিছুটা গা-ছাড়া মনোভাব দেখা যাচ্ছিল। সে কারণে আর গোল হয়নি।