রাতে আর ফিরতে হবে না সন্দীপ ঘোষকে, সিবিআই গ্রেফতার করল আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে
অবশেষে মিথ্যার অবসান। মিথ্যা কথা দিনের পর দিন বলতে ক্লান্ত হেভিওয়েট সন্দীপ। আর বাড়ি ফেরা হচ্ছে না? সিবিআইয়ের হেফাজতে মঙ্গলবারের সকাল হবে সন্দীপের? ১৬ তম দিনে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে সন্দীপ। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ থেকে বের করা হয়। গাড়ির পিছনের সিটে মাঝখানে বসানো হয় সন্দীপকে। দু’পাশে দুই সিবিআই আধিকারিক ছিলেন। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পরে সন্দীপকে ১৫ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ তারইমধ্যে দুর্নীতির অভিযোগেও জড়িত বলে অভিযোগ। তদন্ত শুরু করে সিবিআই। আরজি কর কাণ্ডের ২৬ দিনের মাথায় গ্রেপ্তার করা হল সন্দীপকে।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সূত্রে খবর। সেই খবর পৌঁছানোর পরই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের ইস্তফার দাবিতে লালবাজার অভিযানের মধ্যেই আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার বলেন, ‘যেটা পুলিশ করতে পারেনি, সেটা সিবিআই করে দেখিয়েছে।’ সন্ধ্যায় সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বার করে সিবিআই অফিসারেরা সন্দীপকে নিয়ে যান নিজাম প্যালেসে। তার পরেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়, গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। আরজি কর কলেজ ও হাসপাতালে একাধিক বেনিয়মের তত্ত্ব। মর্গ থেকে দেহ উধাও হওয়া থেকে শুরু করে রয়েছে হাসপাতালের জৈব বর্জ্য নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগও! সেই অভিযোগে সন্দীপ ঘোষ ছাড়াও রয়েছে আরজি করের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের কর্তা দেবাশিস সোম, হাসপাতালের প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠ এবং হাসপাতালের চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহকারী বিপ্লব সিংহের নাম। এবার কী তাহলে গ্রেফতারের তালিকায় আরও বড় নাম?