কুমিরের আতঙ্ক ভাগীরথী নদী বক্ষে! মুর্শিদাবাদে চলছে বিশ্বের দীর্ঘতম সাঁতার প্রতিযোগিতা
কুমির আতঙ্ক। রবি সকালে মুর্শিদাবাদে শুরু বিশ্বের দীর্ঘতম সাঁতার প্রতিযোগিতা। ভাগীরথী নদী বক্ষে বিশ্বের দীর্ঘতম ৮১ কিলোমিটার সাঁতার প্রতিযোগিতা। আহিরণ ঘাট থেকে এই প্রতিযোগিতার সূচনা। বিকাল নাগাদ এই প্রতিযোগিতা শেষ হবে বহরমপুর কে এন কলেজ ঘাটের কাছে। ৮১ কিলোমিটার বিভাগে দেশ বিদেশ মিলিয়ে মোট ১৮ জন প্রতিযোগীর অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সাঁতারে নেমেছেন মাত্র ৯ জন প্রতিযোগী। আটজন পুরুষ এবং একজন মহিলা। কোনও বিদেশি প্রতিযোগী এবার ৮১ কিলোমিটার বিভাগে অংশগ্রহণ করেননি বলে উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের দীর্ঘতম এই সাঁতার প্রতিযোগিতাতে এত কম প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেননি।
কয়েকদিন আগে মুর্শিদাবাদের গঙ্গা নদীর ভাঙন কবলিত সামশেরগঞ্জ এলাকায় ভাগীরথী নদী বক্ষে একটি কুমির দেখা যায়। উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে কোনও ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে না। সাঁতারুদের সাথে শুরু থেকেই রয়েছে বনদপ্তর এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের বিশেষ প্রশিক্ষিত বাহিনী। সাঁতার প্রতিযোগিতার আহিরন সাব কমিটির আহ্বায়ক সুভাষ লালার কথায়, ‘কিছুদিন আগে সামশেরগঞ্জ এলাকার কাছে একটি কুমির দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। প্রশাসন ও বনদপ্তরের একটি দলকে প্রতিযোগীদের সাথে রাখার আবেদন করা হয়। প্রশাসনের তরফ থেকে বনদপ্তর এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর বিশেষ প্রশিক্ষিত বাহিনীকে সাঁতারুদের নজরে রাখা হয়, যাতে কোনও রকম দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়। আহিরন ঘাট থেকে শুরু করে বহরমপুর পর্যন্ত প্রতিযোযোগীদের সাথে যাবেন।’ সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক সাঁতারুদের পাশে একটি করে হাতে টানা ‘লাইফ সেভার’ নৌকা ছাড়াও দু’টি লঞ্চ এবং আরও একাধিক নৌকা থাকছে সুরক্ষার জন্য। বনদপ্তর এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর আধিকারিকেরা অন্য নৌকাতে প্রতিযোগীদের সামনে। বনদপ্তরের দলটির কাছে জাল, লাঠি এবং অন্যান্য সরঞ্জাম রয়েছে কুমির তাড়ানোর জন্য।