‘আমরা তিলোত্তমা’র মিছিল রাস্তা জুড়ে! ‘বিচার চাই’ স্লোগানে একাকার চেনা অচেনা মুখ

‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান। প্রতিবাদ মিছিল। ‘প্রীতিলতার এই মাটিতে ধর্ষকদের ঠাঁই নাই’ স্লোগানও। সেলেব্রিটি থেকে সাধারণ মানুষ। সকলেই যোগ দিয়েছেন। মিছিলে শামিল হল শিশুরাও। কলকাতার বেশ কয়েকটি সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়ারা অভিভাবকদের সঙ্গে মিছিলে পা মিলিয়েছেন। স্বেচ্ছাসেবীদের মাথায় বেগনি পট্টি। তার উপরে সাদা রঙে লেখা ‘তিলোত্তমা’। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে এবং ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় বিচার চেয়ে পথে টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের একাংশ। ‘আমরা তিলোত্তমা’র ব্যানারে হওয়া প্রতিবাদ মিছিল। কলেজ স্কোয়্যার থেকে শেষ ধর্মতলায়। মিছিলে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, উষসী চক্রবর্তী, চৈতি ঘোষাল, সুদীপ্তা চক্রবর্তী।

৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুমে উদ্ধার হয় চিকিৎসক-পড়ুয়া তরুণীর দেহ। তার পরে কেটে গিয়েছে প্রায় ২৩ দিন। কিন্তু ঘটনার তদন্ত কোন দিকে এগোচ্ছে, তা নিয়ে সন্দিহান মানুষ। প্রায় এক মাস হতে চলল। এমন একটা নির্মম ঘটনার কোনও সুরাহা হল না।

জনসাধারণকে বোকা ভেবে লাভ নেই। একটা মানুষকে দোষী হিসেবে সামনে আনা হচ্ছে, কেউ বিশ্বাস করছেন না, একা এত বড় কাণ্ড ঘটিয়েছে সে। সেটা অসম্ভব। মৃতদেহের পাশে রীতিমতো গোল বৈঠক করে পরিকল্পনা চলেছে। অকুস্থলে কোনও নিরাপত্তা নেই। মিথ্যে কথা বলে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা হয়েছে।

জনসাধারণ তো বুদ্ধি বিবেচনা কাজে লাগিয়ে ভোট দেন। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও মানুষকে বোকা ভাবার কোনও জায়গাই নেই। জনসাধারণের জন্যই কিন্তু সরকার। মানুষের জন্যই পাওয়া ক্ষমতা সরকারের কাছে। কিন্তু তাও কেন সুরাহা পাচ্ছি না? সিবিআইয়ের হাতে তদন্ত যাওয়ার আগেই তথ্যপ্রমাণ লোপাট হয়েছে।

দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর চালিয়েছে। এরকম একের পর এক অভিযোগের পাহাড়। মিছিলে দলীয় পতাকার জায়গা নেই। একটাই উদ্দেশ্য— দফা এক, দাবি এক, সব দোষীরা শাস্তি পাক।