October 7, 2024

খুন ও ধর্ষণের ঘটনার প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা? কিছু ‘প্রভাবশালী’র নাম তদন্তে উঠে আসায় বাড়তি সতর্কতার সঙ্গে তদন্ত!‌

0

নিহতের সুরতহাল, ময়না তদন্ত ও বিভিন্ন ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্টই সিবিআইয়ের কাছে তদন্তের বড় ভরসা। একাধিক ব্যক্তি ওই চিকিৎসক-পড়ুয়ার উপরে নির্যাতন করেছিল?‌ ফরেন্সিক রিপোর্টেই সুস্পষ্ট জবাব মিলবে, বলে ধারনা তদন্তকারীদের। সংশ্লিষ্ট ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিকে চিঠি সিবিআইয়ের। আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পলিগ্রাফ পরীক্ষা চলছে। কিছু ‘প্রভাবশালী’র নাম তদন্তে উঠে আসায় বাড়তি সতর্কতার সঙ্গে তদন্ত সিবিআই এর। তদন্তের অভিমুখ মূলত দু’টি। ধর্ষণ, খুন কী ভাবে ঘটে এবং কেউ কি কোনও ভাবে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছে? বিভিন্ন সাক্ষ্যপ্রমাণ, ফরেন্সিক পরীক্ষার বেশ কিছু রিপোর্ট ও বিভিন্ন জনের পলিগ্রাফ পরীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে এই প্রশ্নগুলির আদালতগ্রাহ্য উত্তর খোঁজার চেষ্টা। কেউ প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করলে বা তদন্তের অভিমুখ গুলিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলেও রেহাই পাবেন না। কঠিন ধারায় মামলা হতে বাধ্য।

ঘটনাস্থলে প্রচুর পায়ের ছাপ। চেস্ট মেডিসিনের সেমিনার রুমে কর্তব্যরত চিকিৎসক-পড়ুয়ার দেহ পড়ে আছে শুনেও পুলিশকে খবর দিতে দেড় ঘণ্টা কাটিয়ে দিয়েছিল ইচ্ছাকৃতভাবেই। কলকাতা পুলিশের দাবি, তদন্তে নেমে তারা মৃতদেহের চারপাশে লক্ষ্মণরেখা কেটে দিয়েছিল। পুলিশ আসার আগে ওই ঘর আর জি করের বড় কর্তা, মেজো কর্তা, সিনিয়র, জুনিয়র ডাক্তার, বিভিন্ন আধিকারিকে ভর্তি হয়ে গিয়েছিল। সিবিআইয়ের কথায় স্পষ্ট আর জি করের কর্তাব্যক্তিদের বেশির ভাগের জবাবেই সিবিআই সন্তুষ্ট নয় রাতে সেমিনার রুমে ‘অপরাধে’ কারা জড়িত? ক’জন ওই ঘরে ঢুকেছিল? না কি অপরাধ অন্য কোথাও ঘটিয়ে ওই ঘরটিতে কয়েক জন ঢুকে মৃতদেহ ফেলে দিয়ে যায়?‌ প্রচুর প্রশ্নে জটীল হয়ে উঠছে তদন্ত!‌

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed