পৃথক মিছিলে আরজি কর, রাজনৈতিক সমর্থন নয়! সংঘাত বা হিংসাত্মক প্রতিবাদ নয়, শান্তিপূর্ণ পথেই ন্যায়বিচার কাম্য
কোনও হিংসাত্মক আন্দোলনে সায় নেই আরজি করের পড়ুয়া ও জুনিয়র চিকিৎসক আন্দোলনকারীদের। চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, জুনিয়র চিকিৎসক এবং পড়ুয়াদের নিরাপত্তা। আরজি কর-সহ রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফোরাম’ ডব্লিউবিজেডিএফ-এর সমর্থন নেই কোনও হিংসাত্মক ঘটনায়।
আরজি কর-কাণ্ডের ন্যায়বিচার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফার দাবিতে ‘পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজ’-এর নবান্ন অভিযানে তুলকালাম। কলকাতা এবং হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ আন্দোলনকারীদের। বিক্ষুব্ধদের আটকাতে লাঠি থেকে কাঁদানে গ্যাস, জলকামান। ‘পুলিশি দমনপীড়নে’র প্রতিবাদে বুধবার বাংলা বন্ধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। নবান্ন অভিযানে গ্রেফতার মোট ২২০, আটক অনেকে, পুলিশ বলল, এই আন্দোলন ছাত্রদের হতেই পারে না!
সংগঠনের সদস্যদের দাবি, ন্যায়বিচার অবশ্যই শান্তিপূর্ণ পথে। সহযোগিতার মাধ্যমে। পুলিশের সঙ্গে সংঘাত বা হিংসাত্মক প্রতিবাদ নয়। তাঁদের আশা শান্তিপূর্ণ পথেই মিলবে ন্যায়বিচার। আরজি করের আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা নির্যাতিতার ন্যায়বিচারের দাবিতে আয়োজিত কনভেনশন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করেছেন। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করেছিলেন আরজি করের আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা। প্রতিনিধিদল স্বাস্থ্য ভবনে গিয়ে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছিল। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কোনও আন্দোলনের প্রতি আমাদের সমর্থন নেই। ভবিষ্যতেও থাকবে না। আশঙ্কা, প্রতিবাদ থেমে গেলে বিচারপ্রক্রিয়া শ্লথ হয়ে যেতে পারে।
ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন আরজি কর-কাণ্ডে নির্যাতিতার বাবা-মা। কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নেই। সন্তানহারা দম্পতি চান, মেয়ের ধর্ষণ এবং খুনের বিচার যত দিন না হচ্ছে, তত দিন এই আন্দোলন চলতে থাকুক। আক্ষেপ, “এখনও এক জন ছাড়া কেউ গ্রেফতার হল না!” সিবিআইয়ের উপর তাঁদের আস্থা আছে। তবে প্রশ্ন একটাই, “কেন এত দেরি হচ্ছে?”