‘আমাদের ভয় দেখাবেন না!’ জবাব চিকিৎসকদের, ‘এফআইআর বা আইনি ব্যবস্থা নিলে কেরিয়ারটা নষ্ট হয়ে যাবে’, হুমকি মুখ্যমন্ত্রীর
আন্দোলনরত চিকিৎসকদের প্রতি মমতার প্রচ্ছন্ন হুমকি, ‘‘আমাদের মানবিক মুখ রয়েছে। আমরা চাই না, কারও সারা জীবনটা নষ্ট হোক। আমরা যদি এফআইআর করি বা কোনও আইনি ব্যবস্থা নিই, তা হলে আপনাদের কেরিয়ারটা নষ্ট হয়ে যাবে। ভিসা, পাসপোর্টে অসুবিধা হয়ে যাবে। আমি তা চাই না। আমি চাই আরও ভাল ভাল ডাক্তার তৈরি করতে।’’ মিছিলের ভিড় থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে জবাব, ‘‘আমাদের এফআইআরের ভয় দেখাবেন না! আমাদের যে দাবিগুলো রয়েছে তা না মেনে নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’’
জুনিয়র ডাক্তারদের রাজ্য জুড়ে আন্দোলন ও দাবি, আরজি করে যে ঘটনা ঘটেছে, তার ‘সঠিক বিচার’ হোক। কে বা কারা ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, ওই ঘটনার পিছনে কারও মদত ছিল কি না, কোনও ষড়যন্ত্র ছিল কি না, তা দ্রুত তদন্ত করে বার করতে হবে। ১৪ অগস্ট রাতে ওই হাসপাতালে পুলিশের উপস্থিতিতে যে ভাঙচুর হয়েছিল, সেই ঘটনার পিছনে কারা ছিল, তা জানতেও ‘প্রকৃত তদন্ত’ করতে হবে। তাঁদের দাবি, ধর্ষণ এবং খুনের তথ্যপ্রমাণ লোপাট হয়েছে কি না, হলে কার বা কাদের যোগসাজশে তা হয়েছে, তা খুঁজে বার করতে হবে। স্বাস্থ্য ভবনের কারও খুনের তথ্যপ্রমাণ লোপাটে কোনও ভূমিকা আছে কি না, তা তদন্ত করতে হবে এবংপ্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করতে হবে। যা বুধবার পর্যন্ত হয়নি। জুনিয়র ডাক্তারেরা পুলিশ কমিশনারেরও ইস্তফা দাবি করেছেন। দাবি করেছেন, পুলিশ কমিশনারকেও তদন্তের আওতায় আনতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী ‘নরমে-গরমে’ বার্তা দিতে চেয়েছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকেদের উদ্দেশে। সার্বিক ভাবে এর কী প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে, তা নিয়ে অনেকেই উদ্বেগে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে চিকিৎসকদের মধ্যে ‘বিরূপ প্রতিক্রিয়া’ তৈরি করার সম্ভাবনা রয়েছে। যা সামগ্রিক ভাবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে ‘প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি’র কালক্ষেপ না-করে জুনিয়র ডাক্তারদের জবাবে স্পষ্ট, কর্মবিরতি উঠছে না।