অধিনায়ক নন রাহুল? লখনউয়ের অধিনায়কের দৌড়ে কারা?
লখনউ সুপার জায়ান্টের কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে জরুরি বৈঠক করতে কলকাতায় হাজির ছিলেন কেএল রাহুল। আলিপুরে শিল্পপতির অফিসে বৈঠক হয়। রাহুলকে রাখতে আগ্রহী এলএসজি। আরও একবছর হয়তো তাঁকে লখনউয়ের জার্সিতে দেখা যাবে। তবে অধিনায়ক হিসেবে নয়। নেতৃত্বের চাপ নিতে পারছেন না তিনি। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যাটিং। সেই কারণেই অধিনায়কত্ব ছাড়তে চান রাহুল। তবে কাকে লখনউয়ের অধিনায়ক করা হবে সেই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। রাহুল এলএসজিতেই থাকছেন। তবে নেতার ভূমিকায় হয়তো তাঁকে নাও দেখা যেতে পারে। অধিনায়কের দৌড়ে রয়েছেন ক্রুনাল পাণ্ডিয়া এবং নিকোলাস পুরান। লখনউ ফ্র্যাঞ্চাইজির ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানান, ‘সোমবার সিইও সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। অধিনায়কত্ব এবং কাদের ধরে রাখা হবে সেই নিয়ে আলোচনা হয়। তবে রাহুল নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী নয়। নিজের ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতে চায়। রাহুলের ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে গোয়েঙ্কার। প্লেয়ার হিসেবে ওকে রিটেন করা হবে। তবে ওকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যাবে না। অধিনায়ক কে, সেই নিয়ে ভাবনা-চিন্তার দৌড়ে দু’জন, ক্রুনাল পাণ্ডিয়া এবং নিকোলাস পুরান।’
ঝটিকা সফরে শহরে আসেন কেএল রাহুল। প্রায় চার ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠক চলে। সেখান থেকেই সরাসরি বেঙ্গালুরুর উদ্দেশে রওনা হন তারকা ক্রিকেটার। দলীপ ট্রফিতে খেলতে নামার আগে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে প্র্যাকটিস করছেন রাহুল। ভারতের ‘এ’ দলে শুভমন গিলের নেতৃত্বে খেলবেন তিনি। প্রসঙ্গত, আগের আইপিএলে রাহুলের অধিনায়কত্বে খুশি ছিলেন না সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। তাঁকে প্রকাশ্যে বিরক্ত হতে দেখা যায়। একটি ম্যাচ হারার পর মাঠে দাঁড়িয়েই রাহুলের ওপর ক্ষোভ উগরে দেন লখনউয়ের কর্ণধার। ভাল জায়গায় থাকা সত্ত্বেও প্লে অফের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি এলএসজি। আইপিএলের পর টি-২০ বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাননি রাহুল। জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের আশা ছাড়েননি তিনি।