সস্তায় প্রচার লাভেই স্বস্তি, সেই কারণেই বারবার কটাক্ষের শিকার সৌরভ গাঙ্গুলী

ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক আরজি কর-কাণ্ডে মুখ খুলে বিপদে পড়েছেন। যে কোনও স্তরের মানুষ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিজের স্তরে নামিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। যে কেউ চেষ্টা করছেন বাংলার গর্বের নাম নিজেদের সঙ্গে জড়িয়ে যতটা সম্ভব প্রচারের আলোয় আসা যায়। আরজি কর-কাণ্ডে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় দু’বার প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। আবার কেউ চেষ্টা করছেন তাঁর নাম বাংলার রাজনীতিতে জড়িয়ে দিতে?

আরজি কর হাসপাতাল থেকে এক মহিলা চিকিৎসককে হাসপাতালের মধ্যেই তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সৌরভ তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। ছেলে হোক বা মেয়ে, কারও সঙ্গেই এমন হওয়া উচিত নয়।” এর পর সৌরভ যা বলেন, তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। তিনি বলেন, ভারতকে সাধারণত একটি নিরাপদ দেশ হিসাবেই গোটা বিশ্ব চেনে। বাংলাও নিরাপদ। সেখানে এ ধরনের ঘটনা হওয়া উচিত নয়। তাঁর মতে, কোনও একটি নির্দিষ্ট ঘটনা থেকে সামগ্রিক চিত্র বিচার করা উচিত নয়। পাশাপাশি এটাও জানান, প্রতিটি হাসপাতালে সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারি অত্যন্ত প্রয়োজন। দ্বিতীয় প্রতিক্রিয়ায় সৌরভ বলেন, ‘‘এই ঘটনা ভয়ঙ্কর। দোষীদের এমন শাস্তি হোক, যাতে ভবিষ্যতে এ রকম ঘটনা কেউ ঘটাতে না পারে। সিবিআই তদন্ত করছে। আশা করব দোষী চিহ্নিত হবে।’’ এর পর প্রতিবাদী সৌরভ পথে নামতে চেয়েছিলেন। নিরাপত্তাজনিত কারণে তা সম্ভব হয়নি। তা সত্ত্বেও মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানান। নিম্নরুচিকর কটাক্ষকারীরা তথাপি ক্ষান্ত হননি।

এর আগেও ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ার সময় একই ঘটনার শিকার হয়েছিলেন মহারাজ। ভারতীয় ক্রিকেটের মসনদে থাকাকালীন শুনতে হয়েছে নানান মন্তব্য। মাঝেমধ্যে তীক্ষ্ণ জবাব দিতে পিছুপা হন না, প্রাক্তন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট। সৌরভের রাজনীতিতে যোগ সম্পর্কে কল্পনার জগতে বিচরণ করা কটাক্ষকারীদের জবাবে, এক সময় বাংলার আইকন সৌরভ বলেছিলেন, “আমি একজন স্বাধীন ব্যক্তি। কোনও বিধায়ক, সাংসদ নই। কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই। যেখানে ইচ্ছা হবে সেখানে যাব। অনেকেই অনেক জায়গায় যায়। আমার কাছে কলকাতা, দিল্লি, স্পেন সব এক। আমরা পশুদের সমাজে বাস করি না। আমরা মানুষ, একে অপরের সঙ্গে মতের আদানপ্রদান করি। আমার কোনও রাজনৈতিক লক্ষ্য নেই। আমি কারও কাছে উত্তর দিতে বাধ্য নই।”
এভাবে বাংলার গৌরব কিংবদন্তি ক্রিকেটার সৌরভকে নিজের স্তরে নামিয়ে আনতে তৎপর বাঙালির একাংশ। এতে ফললাভ বলতে, একটু প্রচারের আলোকে কটাক্ষকারীরা নিজেদের উদ্ভাসিত করার চেষ্টা করেন। আদতে মহারাজ সর্বদা স্ব আসনেই প্রতিষ্ঠিত। বিরাট সংখ্যক সৌরভ ফ্যানেদের প্রশ্ন, এভাবে বাংলার মহারাজকে টেনে নামাতে চেষ্টা করলেও, কখনও তা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। কারণ তিনি তো বিশ্ববন্দিত, টিম ইন্ডিয়া তৈরী করেছিলেন তিনিই, বাংলার মহারাজ। আজও একই ভাবে এক সুরে উচ্চারিত হয় ‘মহারাজা তোমারে সেলাম’