January 17, 2025
Tulin & Barikothi

 বর্ষা মানেই বাঙালির মনে এক নতুন উন্মাদনা। সেই রকম পরিবেশে সুন্দর দুটো বেড়ানোর জায়গা হলো তুলিন ও বাড়িকোঠি।

 ১) তুলিন – পশ্চিমবঙ্গ আর ঝাড়খন্ডের ঠিক সীমান্তে অবস্থিত তুলিন। সুবর্ণরেখা নদী বয়ে চলেছে তুলিনের মধ্যে দিয়ে এক শান্ত মেয়ের মত, তবে বর্ষাকালে সে দামাল হয়ে ওঠে। তুলিন পুরুলিয়া জেলার ছোট্ট এক গ্রাম। এই গ্রামে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে বানসা পাহাড়। নেড়া পাথুরে সেই পাহাড়ের কাছে ঘোরার সময় যখন দূর থেকে সাঁওতালী গান ভেসে আসে তখন গা শিরশির করে ওঠে। তুলিন থেকে রাঁচির জোনাহ ফলস, দশম ফলস, পত্রাতু ভ্যালি এই সব জায়গা যেমন যাওয়া যায় তেমনই পুরুলিয়ার মুরুগুমা ড্যাম, অযোধ্যা পাহাড়ও যাওয়া যায়। আছে উজাড় করে প্রকৃতির রূপ। এখনো পলাশ, শিমুল,কৃষ্ণচূড়া আকাশকে লাল করে রেখেছে।

যাওয়া – হাওড়া-হাটিয়া এক্সপ্রেস(ক্রিয়া-যোগা এক্সপ্রেস) ধরে মুড়ি জংশনে নামবেন। সেখান থেকে টোটো করে তুলিন। তাছাড়া পুরুলিয়া বা রাঁচি হয়ে গাড়িতেও আসতে পারেন।

  থাকা – তুলিনে একাধিক হোটেল লজ থাকলেও আমাদের পরামর্শ তুলিন হেরিটেজ বাংলো। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় তুলিনে থেকেছেন অনেকদিন। তাঁর আবাসস্থল তুলিন হেরিটেজ বাংলোতে থাকলে অনন্য অভিজ্ঞতা হবে। না থাকলেও ওখানে দুপুরের খাওয়াটা জাস্ট মিস করবেন না।

 ২) বারিকোঠি – অফবিটে ঘোরাও হবে আবার রাজসিক ভাবে থাকাও হবে সেরকম জায়গায় যাবেন নাকি? সাততারা বা পাঁচতারা হোটেলের বিলাসবহুল স্যুইটের থেকে চারগুণ বড় যে ঘর তাতে থাকতে চান? অনুভব করতে চান কেমনভাবে কাটাতেন আগেকার দিনের রাজা মহারাজারা? তাহলে চলে আসুন বারি কোঠীতে। এটি মুর্শিদাবাদের প্রথম প্রাসাদ যা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

যাওয়া – হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেস, মালদা টাউন ইত্যাদি ট্রেনে আজিমগঞ্জ। সেখান থেকে ২ কিমি রাস্তা পাবলিক ট্রান্সপোর্টে চলে যাবেন।

 থাকা – অবশ্যই বারি কোঠীতে, এখানে মোট ১৫টি ঘর আছে যা তিনটি ক্যাটেগরিতে বিভক্ত- হেরিটেজ স্যুইট, রয়্যাল হেরিটেজ স্যুইট এবং মহারাজা হেরিটেজ স্যুইট। আপনার পছন্দ অনুযায়ী আপনি থাকবেন। খাওয়া-দাওয়ার কথা আলাদা করে আর বললাম না সে নিজে চাক্ষুস দেখে নেবেন না হয়!

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed